ঢাকা: ইসলামী ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে। এ সুবিধা কোনো সংকট সময়ের জন্য নয়।
তিনি বলেন, এতদিন এ সুবিধা চালু ছিল না। সংকটকালে ইসলামী ব্যাংকগুলোকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, এমন একটি ধারণা চালু হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে এ কথা বলেন।
মেজবাউল হক বলেন, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো যখন বন্ড-বিলে বিনিয়োগ করে সেই টাকা বিলবন্ডে রেখে সাময়িকভাবে টাকা নিয়ে তাকে। বিল বন্ডের কোনটা আছে ২০ বছর, কোনটা ১৫ বছর, কোনটা দুই বছর আবার কোনটা এক বছরের। তার জন্য সুবিধা কি! তার জন্য আমরা প্রচলিত ধারার ব্যংকগুলোকে রেপো সুবিধাটা দিয়ে থাকি, এলএস সুবিধা দিয়ে থাকি। স্পেশাল রেপোও দেওয়া হয়।
রেপো বিট করতে হবে। স্পেশাল রেপো কোনো বিট ছাড়াই নিতে পারে। এর বিপরীতে তারল্য সুবিধা নেয়। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য এ রকম কোনো মানিটারি টুল সুবিধা ছিল না। যখন সুকুক বন্ড ছিল না, এ ধরনের টুলও ছিল না। কারণ বন্ডও ছিল না।
যখন আমরা সুকুক বন্ড ইস্যু করলাম, এখানে তো ইসলামী ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করবে। তাহলে এর বিপরীতে সে কি টাকা নিতে পারবে না ! সেটা থাকা উচিত, মানিটারি পলিসিও থাকা উচিত। সেই চিন্তা থেকেই ইসলামী ব্যাংকগুলোকে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ মুখপাত্র।
মেজবাউল হক বলেন, অতি সম্প্রতি সুকুক বন্ড চালু করা হয়েছে। এটা তখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। যখন ইসলামী ব্যাংকগুলোর টাকা প্রয়োজন হলো; তখন তারা বললো আমাদের বন্ড আছে, টাকা দাও। তখন আমরা দেখলাম এ পলিসি টুলটা ব্যবহার করা যায়; এই পলিসি টুলটা ইসলামী ব্যাংকের জন্য ব্যবহার করা যায়। তাই তারল্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তিনি যোগ করেন।
এটা যে শুধু আজকের জন্য বা বিশেষ সময়ের জন্য চালু হয়েছে তা নয়। নীতি হিসেবে আগামীতেও থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফান্ড ব্যবস্থাপনার জন্য এ ধরনের টুল অ্যাসেন্সিয়াল, তার তারল্য ব্যবস্থাপনা এরই উপরই নির্ভর করে। যখন এক্সেস থাকবে তখন বন্ড কিনবে, যখন প্রয়োজন হবে তখন সে বন্ড রেখে টাকা নেবে। এটা একটি পলিসি টুল।
এর সঙ্গে সংকটের কোনো সম্পর্ক নেই। আলোচিত সময়ের কারণে কেউ কেউ মনে করতে পারে। কেউ কেউ অন্যভাবে লিঙ্ক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এটা একটি মনেটারি পলিসি টুল। এটা ইসলামী ব্যাংকে অব্যাহতভাবে থাকবে। ইসলামী ব্যাংকে যত বন্ড ইস্যু হবে, তার বিপরীতে এ তারল্য সুবিধা চালু থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮ , ২০২২
জেডএ/জেএইচ