ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৪১ হাজার কোটি টাকার ঋণপত্র খুলেছে সোনালী ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৩
৪১ হাজার কোটি টাকার ঋণপত্র খুলেছে সোনালী ব্যাংক

ঢাকা: সোনালী ব্যাংকের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম বলেছেন, খাদ্য-দ্রব্য, তেল, সার ও মূলধনি যন্ত্রের মতো সরকারি জরুরি পণ্যের এলসি খুলে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের সোনালী ব্যাংক। বিদায়ী ২০২২ সালে সরকারি এসব গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ৪১ হাজার কোটি টাকার ঋণপত্র খুলেছে।

এসব ঋণপত্র থেকে ব্যাংক নামমাত্র কমিশন নিলেও দেশের বড় ধরনের কাজ হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, খাদ্য, সার ও পেট্রলিয়াম নিয়ে ২০২২ সালে সোনালী ব্যাংক ৪১ হাজার কোটি টাকার এলসি করেছে। এলসি থেকে ব্যাংকের কোনো ক্ষতি হয়নি। মূলত সরকারি এলসিগুলো নামমাত্র কমিশন মূল্যে খোলা হয়েছে যা এলসি থেকে আয় খুব কম ১০০ টাকায় কখনো ৪০ বা ৮০ পয়সার মতো।  

রোববার (১ ডিসেম্বর) বিদায়ী বছরের ব্যাংকিং কার্যক্রম তুলে ধরা ও নতুন বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিদায়ী বছর ২০২২ সালে দুই হাজার ৫০৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছে ব্যাংক। যা বিগত ২০২১ সালের চেয়ে ৪০৩ কোটি টাকা বেশি। আগের বছর মুনাফা করেছিল দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা।  

বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ ৮৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ব্যাংকটির জামানত ও ঋণের আনুপাতিক হার এ বছর ৬০ শতাংশ, যা গত বছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি বলেও জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি করেছে। দেশের ব্যাংকিং খাত এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি অচিরেই শ্রেণিকৃত ঋণ আরও কমে আসবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সোনালী ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড এমডি বলেন, মুনাফা বাড়ার ফলে দ্রুতই মূলধন ঘাটতি কমে আসবে। এজন্য আমরা নিয়মিত ঋণ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি।

করোনার পর থেকে অর্থনৈতিক উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এ জন্য বেশি কর্মসংস্থান হয়, এমন ছোট্ট  ঋণ বেশি বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান মো. আফজাল করিম। গত বছরে সোনালী ব্যাংক সিএমএসএমই ঋণে গুরুত্ব দিয়েছে। বড় অংকের ঋণ তেমন দেওয়া হয়নি। মূলত ১৫ হাজার কোটি ঋণ বেড়েছে সিএমএসএমই ও এনজিও লিংকেজের মতো বিতরণ করা ঋণ, তিনি যোগ করেন।

দেশের সব চেয়ে বেশি আমানত সোনালী ব্যাংকে রয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটিতে মোট ডিপোজিট রয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ বিপুল ডিপোজিট ব্যবহার করতে পারলে আগামীতে সব সূচকে ব্যাংক ভালো করবে বলে মনে করেন এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, সঞ্চিয়া বিনতে আলী, কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পারসুমা আলম এবং প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজাররা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৩
জেডএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।