ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পোশাকশিল্পের উন্নয়নে একে অপরের পরিপূরক হওয়ার এবং পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উভয় দেশের পোশাকশিল্প সংক্রান্ত আলোচনার সময় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন।
সাক্ষাৎকালে তারা তৈরি পোশাকের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, বৈশ্বিক প্রবণতা ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় দেশ কীভাবে নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, তা নিয়েও মতবিনিময় করেন তারা।
এ সময় অর্থপূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার মাধ্যমে পারস্পরিক বাণিজ্য সম্ভাবনা উন্মোচন করতে এবং সামনে থাকা সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পোশাকশিল্পে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তারা।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পমূল্যের বেসিক পোশাক থেকে হাই-অ্যান্ড পণ্য, বিশেষ করে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাকে যাওয়ার মাধ্যমে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের ওপর জোর দিয়েছে এবং ভিয়েতনামের এ খাতে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভিয়েতনাম এ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাংলাদেশের সঙ্গে করতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশ ভিয়েতনামের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে।
তারা বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) এবং ভিয়েতনামের বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্যাশন ইনস্টিটিউটসমূহ ও পোশাক বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে জ্ঞান এবং দক্ষতা শেয়ার করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এমকে/আরবি