ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইইউতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪২ শতাংশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
ইইউতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪২ শতাংশ ফাইল ফটো

ঢাকা: ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশ থেকে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

পরিসংখ্যান অনুসারে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সারা বিশ্ব থেকে মোট ৮৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে ১ম অবস্থানে আছে চীন। চীন ২৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে।

২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বছরওয়ারি ২২ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ২৫ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

একই সময়ে, তুরস্ক থেকে আমদানিও বছরওয়ারি ১৮ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়েছে। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি ১০ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

ভারত থেকে আমদানিও ৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যাতে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারীদের মধ্যে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ৩৩ দশমিক ০৫ শতাংশ ২৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন (বিজিএমইএ) এর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, প্রবৃদ্ধি অনুসারে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থান অর্জন করেছে। অঙ্কের ভ্যালুতেও সেটি কম না। ইউরোপে বাংলাদেশ ভালো করছে বরাবরই। সেখানে বাংলাদেশের পোশাকের ভালো চাহিদা আছে। একটি কথা না বললেই না, অক্টোবরের পর্যন্ত ইউরোপের যে আমদানি সেটা কিন্তু এরপর কমেছে। যেটা আমরা এরই মধ্যেই দেখেছি। যদিও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ভালো। কিন্তু, যতটুকুই রপ্তানি হয়েছে ইউরোপে তারমধ্যেও বাংলাদেশ ভাল করেছে। কিন্তু, এটাতে আসলে খুব বেশি খুশী হওয়ার কিছু নেই। আমরা মূলত মন্দের ভালো করছি।

তিনি বলেন, যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা এসব কিছুর প্রভাব পড়াতেই কিন্তু এটি হচ্ছে। আর, প্রবৃদ্ধি অর্জনের কারণ হচ্ছে আমাদের পোশাকের ইউনিট ভ্যালু বেড়েছে। নতুন-নতুন পোশাক রপ্তানি হচ্ছে, পরিবহন খরচ বেড়েছে। এসবের কারণেও কিন্তু প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। কিন্তু, আক্ষরিক অর্থে আমরা নেতিবাচক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। যেটা আমরা ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসের ডাটা পেলেই দেখতে পারব। কিন্তু অন্যদের থেকে আমাদের অবকাঠামো ভালো থাকার কারণে হয়ত আমরা ভালো করব, কিন্তু আমাদের সার্বিক রপ্তানি কিন্তু কমে যাবে। আমাদের সতর্কভাবে সামনের পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।