ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে মুরগি-ডিম-সবজির  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
দাম বেড়েছে মুরগি-ডিম-সবজির  

ঢাকা: বাজারে দাম বেড়েছে মুরগি, ডিম ও সবজির। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

 

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে সবজি দাম বেড়েই চলেছে। আকার ভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

করলা ১০০-১২০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০-১০০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।  

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। আগের সপ্তাহে কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সেলিম বলেন, বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। শীতের মৌসুম শেষের দিকে সবজির দাম কম থাকে। কিন্তু এবার সবজির দাম তেমন কমেনি।

নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায়। দেশি আদা ১২০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।  

বাজারে আটার খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আগে কেজির প্যাকেট ছিল ১৪০-১৪৫ টাকা।

এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।  

বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা।  এসব বাজারে লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।  

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বাড়ছেই। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩২ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ডজন বিক্রি হতো ১২৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, ডিমের দাম আবার বেড়েছে। লাল ফার্মের মুরগির হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা গত সপ্তাহে ছিল ৩২ টাকা। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩২ টাকায়।  

ডিমের উৎপাদন কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়।  

বাজারে দাম বেড়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।

গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।  

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, খামারের বলছে, খাবারের মূল্য ও বাচ্চা মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে মুরগির দাম। দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
এমএমআই/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।