ঢাকা: ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গ্যাসের নতুন দাম ঠিক করেছে সরকার। তবে সব খরচ অন্তর্ভুক্ত করলেও গ্যাসের দাম আরও কমানো সম্ভব বলে মনে করছে বিজিএমইএ।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইর স্থায়ী কার্যালয়ে পোশাকশিল্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি ফারুক হাসান এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, স্পট মার্কেট বা খোলা বাজার থেকে চড়া দামে এলএনজি কিনতে গিয়ে চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ ১৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে সরকারের এক নির্বাহী আদেশে। আগে যেখানে গ্যাসের দাম ছিল ইউনিট প্রি ১০ টাকা থেকে ১২ টাকার মধ্যে, এখন শিল্প-বাণিজ্যের গ্রাহকদের প্রতি ইউনিট গ্যাসের জন্য ৩০ টাকা দিতে হচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, দেশীয় গ্যাস, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি গ্যাস এবং খোলা বাজার বা স্পট মার্কেট থেকে তাৎক্ষণিক কেনা এলএনজি গ্যাসের মিশ্রণই জাতীয় গ্রিডের গ্যাস। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির গ্যাসগুলোর দাম প্রতি ইউনিট ১২ থেকে ১৩ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। আর স্পট মার্কেটের এলএনজি এক সময় বেড়ে গিয়ে প্রতি ইউনিট ৭০ ডলারে উঠে গেলেও এখন সেটা কমে ১৭/১৮ ডলারে নেমেছে।
ফারুক হাসান বলেন, আমরা বিজিএমইএ থেকে যেটা বলতে চাচ্ছি, তা হচ্ছে আগে যখন বেশি দর ছিল, সেই সময় গ্যাসের দাম ঠিক করা হয়েছিল। এখন স্পট এলএনজির দামটা অনেক কমেছে। ফলে সরকার এখন যে দামটা ঘোষণা করেছে, তা হিসাব করে দেখলে আরও কমে আসবে।
গ্যাস, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির সমালোচনা করে ফারুক হাসান বলেন, আমরা শক্তভাবে বলতে চাই, আমাদের যে সিস্টেম লসটা আছে, সেটাকে কমিয়ে জিরোতে আনতে হবে। মিটার রিডিং চুরিতে আমার লোক, তিতাস গ্যাসের লোক বা বিদ্যুতের লোক যারাই জড়িত থাকুক, তাদের চিহ্নিত করা হোক। সব ধরনের অবৈধ সংযোগ কেটে দেওয়া হোক। কারণ এসব অনিয়মের কারণে যে রেভিনিউ ঘাটতি হয় তার একটা চাপ সাধারণ ভোক্তাদের ওপর পড়ে। ব্যক্তির দুর্নীতির চাপ ভোক্তা পর্যায়ে পড়ে।
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা গ্যাসের উচ্চ মূল্য নিয়ে অনেকদিন ধরনের অসন্তোষ জানিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের এ সংগঠন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
এমকে/জেডএ