ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০২২ এর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে বাংলাদেশে ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

যদিও মোট রপ্তানিতে ১ম স্থান ধরে রেখেছে চীন।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি থেকে নভেম্বর ২০২২ সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব থেকে মোট ৯৫ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। যেখানে, পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

২০২২ সালের জানুয়ারি-নভেম্বর ইইউ বাংলাদেশ থেকে ২১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে; যা ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি৷

অন্যদিকে, চীন ২৯ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইইউতে সর্ববৃহৎ পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম ১১ মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি ২৭ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এতে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ২৯ শতাংশ ।

একই সময়ে তুরস্ক থেকে আমদানিও পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। টাকার অঙ্কে যা ১১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এছাড়া, ভারত থেকেও আমদানি ৪ দশামক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি যথাক্রমে ৩৫ দশমিক ৮৯, ৩৪ দশমিক ১৬, ২৭ দশমিক ৯৯, ৮ দশমিক ১৩,  ১৭ দশমিক ৩২ এবং ২৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ বেশি প্রবৃদ্ধি করেছে ইউরোপে মূলত তারা বেশি ক্রয়াদেশ দিয়েছে বলে। তবে, এটা সম্ভব হয়েছে করোনার কারণে। এরপরও যে গতিতে বাড়া উচিত ছিল, নভেম্বরের পর থেকে আস্তে-আস্তে কমে এসেছে৷ চলমান অর্থনৈতিক মন্দা কিন্তু নভেম্বরের পর থেকে আঘাত করেছে। কিন্তু, রপ্তানি কমলেও প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশ কিন্তু অন্যদের থেকে ভালো করেছে। ক্রেতাদের আস্থা অন্যদের চেয়ে বাংলাদেশের ওপর বেশি।

তিনি বলেন, আমাদের পণ্যের দাম বেড়েছে। কারণ উপকরণগুলোর দাম বেড়েছে সেজন্য এফওবি বেড়েছে। এ কারণে রপ্তানি বেড়ে গেছে। এখন দেখার ব্যাপার হচ্ছে আমরা কীভাবে এটা ধরে রাখি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।