ঢাকা: আগামীতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করছেন দেশের প্রাচীন ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রবাসী আয় বাড়ছে, রফতানি আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় এমসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, মহাসচিব ফারুক আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস প্রবাসী আয়। যেসব দেশে প্রবাসী আয়ে ভালো করে সে সব দেশে গত আট সপ্তাহ সপ্তাহ ধরে ভালো করছে না। সেখানে বাংলাদেশে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। সরকারের সাম্প্রতিক বিভিন্ন রকমের উদ্যোগের ফলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি ডলার পাঠাচ্ছে, আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে কাঁচামাল আমদানি করতে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। বিলাসী পণ্য ও তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আপনারা বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংকের কাছে ডলার থাকার ভিত্তিতে কাঁচামালের ঋণপত্র খোলা হচ্ছে। যাচাই বাচাই বা অন্য কোনো বিষয় নয়। করোনা মহামারির সময় কম সুদের ঋণ বা প্রণোদনা দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে লাইফলাইনের ভূমিকা রেখেছিল। করোনা মহামারির পর দেশে আরেক দুর্যোগ আবির্ভূত হয়েছে। এর প্রভাবে জ্বালানিসহ সব ধরনের কাঁচামাল ও আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে । বেড়েছে পরিবহন খরচ। ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে রফতানিতে। মহামারি মোকাবিলা করতে যে সব সহায়তা দিচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামীতেও নীতি সহায়তা চালিয়ে রাখার আহ্বান এই এমসিসিআই সভাপতি।
‘কাতারে তেলের দাম এখন কম। সরকার বলছে আন্তর্জাতিক বাজার বিবেচনা করে গ্যাস বিদ্যুতের বাজার সমন্বয় করা হবে। কিন্তু এটা পরিষ্কার নয় গ্যাস- বিদ্যুতের কোন দাম কোন বাজারের সঙ্গে সমন্বয় হবে। এটা কি পণ্য যখন জাহাজিকরণ করা হয় তখনকার দাম, নাকি দেশের বাজারে পণ্য আসার পর আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম নামের সঙ্গে সমন্বয় হবে?’ তিনি সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চান।
দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় না করে স্থানীয় পণ্য স্থানীয় ভাবেই নির্ধারণ করা উচিত বলে তিনি মত দেন।
হাবিবুল্লাহ এন করিম বলেন, রফতানি প্রণোদনা এখনো দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এগুলো পর্যায়ক্রমে উঠে যাবে। তবে নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন, যাতে দেশে ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষম থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো দেশেও ব্যবসা-বাণিজ্যে নীতি সহায়তার মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখানেও ক্ষেত্রে বিশেষে সহায়তা চালিয়ে যেতে হবে।
এমসিসিআই-এর মহাসচিব ফারুক আহমেদ বলেন, প্রতি পাঁচ বছর পর মজুরি নির্ধারণ হয়। পাঁচ বছর অন্তর তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী বোর্ডও যথারীতি হবে। বোর্ডে সব দিক বিশ্লেষণ করে মজুরি নির্ধারণ করবে। তবে তৈরি পোশাক দেশের বড় খাত। এর পেছনে উঁচুমহলের হাত থাকে। তৈরি পোশাক শিল্পের সক্ষমতা ও শ্রমিকদের জীবন নির্বাহের খরচ বৃদ্ধিরসহ সার্বিক দিকে বিবেচনা করে নিশ্চয়ই গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য মজুরি নির্ধারণ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
জেডএ/এসএ