ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে কাজ করবে বিজিএমইএ এবং টেক্সপ্রসিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে কাজ করবে বিজিএমইএ এবং টেক্সপ্রসিল

ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সরকারের মধ্যে সহযোগিতা এবং উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে বানিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেছেন, ভারতে মধ্যবিত্ত জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে, যে কারণে ভারত বাংলাদেশের পোশাক রফতানির জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার হয়ে উঠেছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি যে ভারতের বাজারে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতীয় তুলা, ম্যান-মেইড ফাইবার ডাইস, জামিকেলস এবং অন্যান্য কাঁচামালের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল বাজার।

তিনি আরও বলেন, এভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, পোশাক এবং টেক্সটাইল একে অপরের পরিপূরক এবং দেশ দুটি পারস্পরিক সুবিধা পেতে পারে।

শনিবার (৪ মার্চ) বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে কটন টেক্সটাইলস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (টেক্সপ্রসিল) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে
মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

টেক্সপ্রসিল-এর চেয়ারম্যান সুনীল পাটোয়ারির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আরও বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে দেখা করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্রেড ফেয়ারের চেয়াম্যান কামাল উদ্দিন; বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ব্যাশ ইনসেনটিভ এর চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির সেলিম, টেক্সপ্রসিল-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সিদ্ধার্থ রাজাগোপাল ও যুগ্ম পরিচালক মুরালী বালকৃষ্ণ।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশ ও ভারতের পোশাক ও টেক্সটাইল রপ্তানিকারকদের মধ্যে পারস্পরিক চাহিদা পুরণের সুযোগ অন্বেষণের জন্য ব্যবসায়িক যোগাযোগ আরও বাড়ানো ও সহজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

তিনি বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণ এবং পরিবহনের অতিরিক্ত চাহিদা মোকাবিলায় স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত অবকাঠামো তৈরি ও পরিবহন সুবিধা বাড়ানোর জন্য সরকারদের প্রতি অনুরোধ জানান। ফারুক হাসান বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পোশাক রফতানিকারকদের আংশিক চালানে ভারত থেকে সুতা আমদানির অনুমতি দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য যে, এর আগে পোশাক রফতানিকারকরা বন্ডেড ওয়্যারহাউজের সুবিধার আওতায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি করতে পারলেও তাদের আংশিক চালানের অনুমতি ছিল না। বৈঠকে বিজিএমইএ এবং টেক্সপ্রসিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আরও ব্যবসার পথ প্রশস্ত করার জন্য একসাথে কাজ করার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এমকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।