ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে চায়ের গুণগতমান বৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
দেশে চায়ের গুণগতমান বৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা  পিডিইউ এর কর্মশালায় টি টেস্টিং পর্ব। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে চায়ের গুণগতমান বৃদ্ধি ও রপ্তানি সম্ভাবনা শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৬ মার্চ) মৌলবীবাজারে বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে (পিডিইউ) চা উৎপাদন এবং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়নকল্পে দিনব্যাপী এ কর্মশালা চলে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চা শিল্পের বড় কোম্পানি বিশেষ করে ফিনলে, ডানকান, ইস্পাহানি, সিটি গ্রুপ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির বাগানে কর্মরত সিনিয়র টি প্লান্টারস, ব্রোকার্স হাউজের অভিজ্ঞ টি টেস্টার এবং বিটিআরআই ও পিডিইউয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পিডিইউ-এর পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত Tea Quality Standard: Export Potentials শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ- এর চিফ এক্সিকিউটিভ শেখ আলিউর রহমান, ওবিই।

ওই কর্মশালা অনুষ্ঠানের সভাপতি পিডিইউ-এর পরিচালক ড. রফিকুল হক বলেন, বাংলাদেশ চা বোর্ড চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চায়ের গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশেষ করে চা রপ্তানিকে তরান্বিত করার লক্ষ্যে অলিউরকে আজকের কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ চা ব্যবসার জগতে এক স্বনামধন্য নাম। অলিউরের লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ বর্তমানে ৪৩টি দেশে সফলতার সঙ্গে চায়ের ব্যবসা করছে। অলিউর বাংলাদেশের চা-কে প্রমোট করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

পিডিইউ-এর পরিচালক আরো বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬৭টি চা বাগান এবং প্রায় ৮০০০ জন ক্ষুদ্র চা চাষী রয়েছেন। যার মোট আয়তন ২৭৯৪৩৯ দশমিক ৬৩ একর, এর মধ্যে চা চাষাধীন জমি রয়েছে ১৫৪৫১৫ দশমিক ৭৯ একর। দেশে চায়ের উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ঐতিহ্যবাহী রপ্তানিমুখী এ চা শিল্পের উৎপাদনের কিয়দংশ বিদেশে রপ্তানি করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। তারই ধারাবাহিকতায় গুণগতমানের চা উৎপাদন এবং উৎপাদিত চায়ের মান যাচাইয়ের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট। আশা করা যায় যে, এর মাধ্যমে চায়ের রপ্তানি বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের অনেক চা বাগান মালিক অথবা ব্যবস্থাপকগণ জানেন না যে, কোন কোন গুণাবলী থাকলেই চা বিদেশে রপ্তানি করা সহজ হয়। চায়ের রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য আগামীতে চায়ের স্ট্যান্ডার্ড গুণাবলী সম্পর্কে হাতে কলমে বাগান ব্যবস্থাপকগণকে আরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান জিএম শিবলী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
বিবিবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।