ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইনস্যুরেন্সে প্রধান চ্যালেঞ্জ অব্যবস্থাপনা: ইদরা চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
ইনস্যুরেন্সে প্রধান চ্যালেঞ্জ অব্যবস্থাপনা: ইদরা চেয়ারম্যান

ঢাকা: ইনস্যুরেন্স বা বিমায় প্রধান সমস্যা গ্রাহকদের দাবি সময়মতো না মেটানো। ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোতে সুশাসন ও রীতি-নীতি না মানার কারণেই এ সমস্যার উদ্ভব।

এ সমস্যা আগেও ছিল, এখনো এটিই প্রধান চ্যালেঞ্জ। এমনটি বলেছেন ইনস্যুরেন্স উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ইদরা) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বার।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) পল্টনে সিএমজেএস মিলনায়তনে সিএমজেএস সংলাপে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

ইদরা চেয়ারম্যান বলেন, ইনস্যুরেন্স নিয়ে যত অভিযোগ, যত নেতিবাচক কথা- সব কোম্পানির অব্যবস্থাপনা থেকে সৃষ্ট। যেসব কোম্পানি গ্রাহকের দাবি মেটাতে পারছে না, তারা গ্রাহকের প্রিমিয়ামের টাকা সঠিকভাবে ব্যয় করতে পারেনি। অব্যবস্থাপনা হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। এ সব কারণে যখন সময় হয়েছে, তখন তারা সে টাকা ফেরত দিতে পারছে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইদরা চেয়ারম্যান বলেন, ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে এখনো প্রধান চ্যালেঞ্জ কমপ্লায়েন্স। কমপ্লায়েন্স না থাকার ফলেই অন্য সব সমস্যার সৃষ্টি। শুরুতে ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোতে আইনের শাসন পরিপালন না করা,  সুশাসন না থাকা এবং পরে বিমা নিয়ন্ত্রক কোম্পানির যথেষ্ট জনবল না থাকার কারণে পুরনো সমস্যাই রয়ে গেছে বিমা খাতে।

তিনি বলেন, বিমা কোম্পানিগুলো থেকে দাবি না মেটানোর পেছনে আরও একটি কারণ হলো গ্রাহকের সচেতনতার অভাব। গ্রাহকরা না বুঝে বিমা করে থাকেন। আবার কোম্পানিগুলো সব বিষয় না বুঝিয়ে বিমা করায়। চুক্তিপত্রেও ইংরেজি ভাষা থাকে, যা গ্রাহকরা বুঝতে পারেন না। পরে গ্রাহক সমস্যায় পড়েন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রচার-প্রচারণা ও গ্রাহক স্বার্থ সম্পর্কিত নীতিমালা বাংলায় করা হচ্ছে যাতে গ্রাহক বিমা করার সময় দেখে-বুঝে বিমা করেন।

একটি প্রতিষ্ঠান ভুয়া দাবি করে কোম্পানি থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে চল্লিশ কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছে, সরকার প্রধানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দাবি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইদরা চেয়ারম্যান।

বিমা কোম্পানিগুলোর পরিচালন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে বলেও জানান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। তিনি বলেন, আগে ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোম্পানি আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হতো, অব্যবস্থা শনাক্ত করা হতো। এখন কোম্পানিগুলোর কাছে থেকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন নেওয়া হয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অব্যবস্থাপনা আছে কি না, গ্রাহকের দাবি মেটানো হচ্ছে কি না, বা অন্য কোন সমস্যা আছে কি না, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। সমস্যা থাকলে তা সমাধানে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কোনো কোম্পানিতে অনিয়ম-দুর্নীতি থাকলে কোম্পানির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেন জানান তিনি। তিনি জানান, পাইলট পর্যায়ে রয়েছে শস্য বিমা। এ বিমা লোকসানে আছে। বেসরকারি পর্যায়ে পাইলট বিমা সম্ভব না। এ জন্য আপাতত শস্য বিমা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহক স্বার্থে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যা এখনো চলমান। দীর্ঘদিনের সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। এ জন্য সময় লাগবে।

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দুর্নীতি, ডেলটা লাইফের বোর্ডের বদল, কোন কোন কোম্পানির চেয়ারম্যানের লাগাম ছাড়া খরচ ও ফারইস্টের চেয়ারম্যানকে অপসারণের বিষয়টি উঠে আসে সংলাপে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ১৫ মার্চ, ২০২৩

জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad