ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লেবু-শসা-বেগুনের দাম বেড়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
লেবু-শসা-বেগুনের দাম বেড়েছে

ঢাকা: রমজান উপলক্ষে দাম বেড়েছে লেবু, শসা, বেগুনসহ সবজির। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি ও গরুর মাংস, তবে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

রমজান উপলক্ষে বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। শসা প্রতি কেজিতে দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা। শিমের কেজি ৪০-৫০ টাকা। আর করলার কেজি ১০০-১২০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল৮০-৯০ টাকা।

আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ১০০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১২০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকা কেজি। পাতা কপি ৩০-৪০ টাকা পিস। আর কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো.আল-আমিন বলেন, কিছু সবজির দাম বাড়তি আছে। আগেই বলেছিলাম রোজা উপলক্ষে সবজির দাম বাড়বে। লেবু, শসা ও বেগুনসহ সবজির দাম বাড়তি। রোজার প্রথম সপ্তাহের পর থেকে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা আছে।

এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে লেবুর হালি ছিল ৩০-৪০ টাকা।

লেবু বিক্রেতা মো. কালাম বলেন, চাহিদা অনুযায়ী লেবু পাওয়া যাচ্ছে না। রোজা উপলক্ষে লেবুর চাহিদা অনেক বেশি। এ কারণেই দাম বেড়েছে।

এখনও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। সোনালি মুরগি হচ্ছে ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা।

একই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, কখনো ব্রয়লার মুরগি এত দামে বিক্রি করিনি। মুরগির দাম বাড়ার পেছনে মূল কারণ সিন্ডিকেট।

বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, আর খাসির মাংসের কেজি  ১০৫০-১১০০ টাকা।

তবে আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বড় রশুনের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা, আদার কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা।

আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, খোলা চিনির কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা। তবে প্যাকেট আটা প্রতি কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৭০ টাকা। আর ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুরের ডাল ১২০-১২৫ টাকা।

সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা, লবনের কেজি ৩৮-৪০ টাকা।

ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা, আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০-২০০ টাকা।

মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মো. শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ খুব চাপে আছে। আমার পরিচিত অনেকেই অত্যন্ত কষ্ট করে চলছেন। বাজারের এই অবস্থার জন্য বিশ্ব বাজারকে নতুন করে দায়ী করার কিছু নেই। তদারকি ও ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি রয়েছে। অতীতে দাম নিয়ন্ত্রণে ডিম আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখন দ্রুত দাম কমে যায়।     

বাংলাদেশ সময়: ১০১২ মার্চ ২৪, ২০২৩
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।