ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবাজারে ধ্বংসস্তুপের ওপরে ত্রিপল টানিয়ে ৫ ফুট জায়গা নিয়ে বসেছে একেকটি চৌকি। প্রতি চৌকিতে দোকানিরা সাজিয়েছেন ঈদের বাহারি পোশাক।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) তপ্ত রোদে খোলা আকাশের নিচে শুরু করেছেন বেচা-বিক্রি। চেষ্টা করছেন কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে টিকে থাকার।
অন্যদিকে বঙ্গবাজারের পেছনের দিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে সরিয়ে আর ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জায়গা। ১ দশমিক ৭৯ একরের খোলা জায়গা থেকে আগুনের পোড়া স্তুপ সরানো হয়েছে। বালু ফেলে ইট বিছিয়ে সমতল করে চৌকি রাখার ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরের তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন এখানে পোশাক কিনতে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোদের কারণে ক্রেতার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। এছাড়া সব ব্যবসায়ী প্রস্তুতির অভাবে বিক্রি শুরু করতে পারেননি। ওপরে ছাউনি দিলে এবং গরম কমলে ক্রেতার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা তাদের।
মিরপুর থেকে আসা আশিক কুণ্ডু নামের এক ক্রেতা বলেন, তিনি মূলত ঘটনাস্থলের অবস্থা দেখতে এসেছেন। যে কয়টি চৌকিতে পণ্য উঠেছে সেগুলো ঘুরে দেখেছেন।
বঙ্গবাজারের যেখানে আগে দোকান ছিল, ঠিক সেখানেই হাজী মহিউদ্দিন এখন চৌকি নিয়ে বসেছেন। তার দোকানে ৫০-৫৫ লাখ টাকার পণ্য ছিল, ঠিক সেই স্থানটিতেই এখন মাত্র ৩০ হাজার টাকার পণ্য তুলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অল্প কয় টাকার পণ্য আনছি, তাও বাকি। নারায়ণগঞ্জের কারখানা থেকে বাকিতে নিয়ে আসছি সব মাল। বেইচা টাকা দিমু। ’
রাইয়ান গার্মেন্টস দোকানের মালিক মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘২৫ লাখ টাকার মাল পুড়েছে, এখন মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকার মাল নিয়ে বসেছি। আমার আগে যেখানে দোকান ছিল, সেখানেই বসেছি। ’
অধিকাংশ ব্যবসায়ীই বিভিন্ন ফ্যাক্টরি থেকে বাকিতে পণ্য নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। এতে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগরী মার্কেট, আদর্শ মার্কেট, গুলিস্তান মার্কেট ও মহানগর শপিং কমপ্লেক্সের সব দোকান পুড়ে যায়।
এছাড়া এনেক্সকো টাওয়ার, বঙ্গ ইসলামীয়া ও বঙ্গ হোমিও মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় ওইদিন দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
এনবি/এসআইএস