ঢাকা: ধর্মপ্রাণ মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসায়, তীব্র গরমেও জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা। ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ইফতারের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১০ নম্বরের বিভিন্ন শপিং সেন্টার, শোরুম এবং ফুটপাত ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র গরম উপেক্ষা করে কেনাকাটা করছেন বিভিন্ন বয়সী শ্রেণি পেশার মানুষ। ক্রেতাদের ভিড়ে দম ফেলার ফুরসৎ নেই বিক্রেতাদের। ক্রেতা-বিক্রেতার হাকডাক এবং দরদামে সরগরম ঈদের বাজার। দরদাম মিলে গেলে অনেকেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পণ্য। তবে বিভিন্ন শপিং সেন্টার এবং নামিদামি বিভিন্ন ব্রান্ডের শোরুম থেকে ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেশি লোকেজনের সমাগম লক্ষ করা যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজা, প্রচণ্ড রোদ আর তীব্র গরমে দিনের বেলায় ক্রেতাদের খুব বেশি ভিড় হয় না, কেনাবেচাও কম হয়। তবে সন্ধ্যার পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়ে যায়। যারা মোটামুটি আর্থিকভাবে সচ্ছল, তারা আগেই কেনাকাটা করে ফেলেন। ঈদের আগ মুহূর্তে নিম্ন এবং কম আয়ের মানুষেরাই বেশি কেনাকাটা করেন।
শেওরাপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের নিচের ফুটপাতে জিন্স এবং গ্যাবাডিং প্যান্ট বিক্রেতা তালেবের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। আরও কয়েকদিন আছে ঈদের, আশা করি বিক্রি আরও বাড়বে।
কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী, চাকরিজীবি এবং ব্যবসায়ীরাই এখন ঈদের কেনাকাটা করছেন পরিবার পরিজনের জন্যে।
বেসরকারি একটি সংস্থায় চাকরি করা মারুফ রেজা বলেন, আমাদের সাধারণত বেতন হয় ১০ তারিখের পর। তাই ঈদের কেনাকাটা করতে দেরি হয়ে গেল। বিভিন্ন জিনিসের দামও বেশি, তাই দেখেশুনে দরদাম করে পছন্দ অনুযায়ী কিনতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্তর থেকে মিরপুর দুই অভিমুখের ফুটপাতে পাঞ্জাবি এবং বিভিন্ন ধরনের প্যান্ট বিক্রেতা শরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিক্রি মোটামুটি ভালো। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি না থাকলে বেচাকেনা আরও বেশি হতো। মানুষের কাছে খুব বেশি টাকা না থাকায় ক্রেতারা অনেক বেশি দরদাম করছেন। তাই কম লাভেই পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে।
এখনো যেহেতু দু-একদিন আরও বাকি আছে, ঈদের তাই আরও বেচাকেনা হবে। সেক্ষেত্রে এবারের ঈদে খুব বেশি লাভ না করতে পারলেও মোটামুটি ডালভাতের ব্যবস্থা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
আরকেআর/এনএস