ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হঠাৎ বেড়েছে ডিমের দাম, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
হঠাৎ বেড়েছে ডিমের দাম, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি 

ঢাকা: হঠাৎ করে ডিমের দাম হালিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। ডজনে বেড়েছে ১৫ টাকা।

দুই দিন আগেও প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১৩০ থেকে বাজার ভেদে ১৩২ টাকা। আজ সকালেই উঠে গেছে ১৪৮ টাকায়! আর দুয়েকটি সবজির দাম বাড়লেও অধিকাংশ বিক্রি হচ্ছে ঈদের আগে বৃদ্ধি পাওয়া দামে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুর, শের-ই বাংলানগর, ফার্মগেট ও সেগুনবাগিচার বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ঈদের পর পর বাজারে সবজির সরবারহ কমে গিয়েছিল। এ সময় বেড়েছিল সবজি। কিন্তু এখন সরবারহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। নতুন করে এসব নিত্যপণ্যের দাম বাড়েনি। গরু ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে গ্রাহক কম; সরবারহও কিছুটা কমেছে।

বাজারে প্রতি কেজি বেগুনের দাম ধরন ভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। পেঁপে প্রতি কেজি  ৬০ থেকে ৭০ টাকা। টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, লাউ ধরন ভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি বাজার ভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

ধুন্দলের কেজি ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, ফুলকপি ৭০ টাকা (২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম), ক্যাপসিকাম ২৫০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ধরন ভেদে ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা, আলু ৪০ টাকা এবং লাল আলু ৫০ টাকা।

মিরপুর-১৪ এর বাজারের কাঁচা শাকসবজি বিক্রেতা রুবেল জানালেন, আগের মতো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য কিছু কিছু সবজির দাম বেড়েছে।  

মিরপুর-২ এর কাঁচাবাজারের ক্রেতা আজগর আলীর অভিব্যক্তি হলো, কিছু সবজির দাম বেড়েছেই। ইচ্ছা হলেই দোকানদাররা দাম বাড়িয়ে দেয়। দাম বাড়ানোর কারণ নেই, যুক্তি নেই। দাম বাড়িয়ে দিলেই হলো। আর ক্রেতারা নিতেও বাধ্য।

কাঁচাবাজার হোক অন্য যেকোনো পণ্যই হোক না কেন, দাম ঠিক বা যৌক্তিক রাখতে হলে বাজারের পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর তাগিদ দিলেন ফার্মগেট কলমিলতা বাজারের ক্রেতা রফিকুল ইসলাম। সেসঙ্গে নৈতিকতা একটি বড় ব্যাপার; বাংলানিউজকে বলেন ওই ক্রেতা।

বাজারে এক কেজি ওজনের রুই মাছের দাম ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। ছোট্ট রুইয়ের কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা মধ্যে। বড় কাতল মাছের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। ছোট কাতলের কেজি ৩০০ টাকা থেকে নিচে। বাঁশপাতা ৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪৮০ থেকে বাজার ভেদে ৫০০ টাকা, সরপুটি ২০০ টাকা, বাজার ভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, ট্যাংরা ৭০০ টাকা, ট্যাংরা (চাষ) ৬০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ টাকা, বেলে মাছের ধরন ভেদে ৯০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাক।

পাঙ্গাশ মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। সিলভার কাপ ২০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে বাজার ভেদে ৪৫০ টাকা। কার্ফু মাছের কেজি ২০০ থেকে বাজার ভেদে ২৩০ টাকা।

এক কেজি ওজনের ইলিশের দর ১৬০০ টাকা; ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম বাজার ও ধরন ভেদে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। গরুর মাংস বাজার ভেদে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা। খাসি ১১০০ টাকা, ছাগল ৯০০ টাকা। ৯০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা।

ব্রলার মুরগির প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা এবং হাইব্রিড (কক) ৩৫০ টাকা। ঈদের আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি।

দেশি প্রতি কেজি আদা ২৩০ টাকা (দেশি)। পেঁয়াজ ও রসুনের দাম আরেক দফা বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের ৫০ টাকা। আমদানি করা বড় রসুন ও দেশি মাঝারি ধরনের রসুনের কেজি ১৭০ থেকে বাজার ভেদে ১৮০ টাকা। দেশি ছোট্ট রসুনের কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।    

ঈদের আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল ও আলু। ছোট্ট মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা, আমদানি করা বড় মসুরের ডাল ১০০ টাকা, ছোলার ডাল ৯০ টাকা, ছোলার খোসা ছাড়ানো ডালের কেজি ১০০ টাকা এবং ডাবলির ডালের প্রতি কেজি ৭০ টাকা। প্রতি কেজি আলু দাম ৪০ টাকা এবং লাল আলুর কেজি ৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
জেডএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।