ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২৮ মিলিয়ন রুপির এলসি দুই প্রতিষ্ঠানের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
২৮ মিলিয়ন রুপির এলসি দুই প্রতিষ্ঠানের

ঢাকা: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পরই দুটি প্রতিষ্ঠান ২৮ মিলিয়ন রুপির এলসি খুলেছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবা উল হক এ কথা জানান। এ দিন সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ভারতীয় হাইকমিশনার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উপস্থিতিতে দুই প্রতিষ্ঠানের এলসি খোলা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে মেজবা উল হক জানান, রুপিতে এলসি খোলার মাধ্যমে ট্রানজেকশন ফি কমে আসবে। এতদিন ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে টাকাকে ডলার এবং ডলার থেকে রুপিতে ট্রান্সফার করে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদন হয়। এই ট্রান্সফারের জন্য দুইবার বাড়তি টাকা দিতে হয়; যায় বাড়তি সময়ও।

ভারতের সঙ্গে রুপিতে আমদানি-রপ্তানি করা শুরু হলে ট্রানজেকশন ফি বাবদ বাড়তি টাকা দিতে হবে না; বাড়তি সময়ও ব্যয়  হবে না। টাকা থেকে সরাসরি   রুপিতে ট্রান্সফার হবে। এর ফলে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে খরচ কমবে। সময়ও বাঁচবে, বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এই মুখপাত্র।

তিনি বলেন, যেহেতু  বছরে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অন্যদিকে রপ্তানি মাত্র দুই বিলিয়ন ডলারের। দুই বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ রুপিতে লেনদেন হবে। বাকি লেনদেন হবে ডলারে।

২০২২ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশকে রুপিতে বাণিজ্য করার প্রস্তাব দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মঙ্গলবার রুপিতে বাণিজ্য করার কার্যক্রম উদ্বোধন করে। ২২টি দেশের সাথে ভারত রুপিতে বাণিজ্য শুরু করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ১৯তম দেশ।

এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, রুপিতে লেনদেন হলেও বাংলাদেশের রিজার্ভে কোনো সমস্যা হবে না।

আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে রুপি-টাকার ডেবিট কার্ড চালু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ সফর করে থাকে। রুপিতে লেনদেন করার ফলে এসব সফরকারী মানুষ সুবিধা পাবেন। লেনদেনের জন্য টাকা থেকে ডলার, ডলার থেকে রুপিতে ট্রান্সফার করতে বাড়তি খরচ গুনতে হবে না। রুপির বিনিময় হার নির্ধারণে দুই দেশের ডলারের বিনিময় হারের গড়কে ভিত্তি হিসেবে নেওয়া হবে।

ভারত ও বাংলাদেশের দুটি করে চারটি ব্যাংকের মধ্যে রুপির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পাদন হবে। বাংলাদেশের সোনালী ও ইস্টার্ন ব্যাংকের এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র সরোয়ার হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩ 
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।