মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, গত ১৪ বছর আমাদের স্বর্ণযুগ। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে আমাদের বাজেটের আকার ছিল ৭৯ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা।
একই সঙ্গে মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হারে কভিড-পরবর্তী ১০ বছরে বাংলাদেশে মোট ১৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে; যা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ।
এ সময়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৬০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ থেকে ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালে ৪০ শতাংশ থেকে অর্ধেকের বেশি কমে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি ঘটেছে। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরের রপ্তানি ১৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫ হাজার মেগাওয়াট, আজ তা ২৭ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার; যা ২০২০ সালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি পণ্যের দাম বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের রিজার্ভ এখন প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক বাস্তবতায় এ রিজার্ভ উন্নয়নশীল বহু দেশের তুলনায় এখনো অনেক নিরাপদ। তবে আমদানির বেলায় কৃচ্ছ্রের নীতি আমাদের আরও কিছুদিন চালিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী সমাজের অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। গত ১৪ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সব সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
উন্নয়নের এ পথ ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে চাই। এ উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জনের প্রধান শর্ত দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা এবং সরকারের অপরিবর্তিত নীতিসহায়তা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা অনেক দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছি। সামনের পথটুকুও আমরা তাঁর দিকনির্দেশনায় পাড়ি দিতে চাই। মহান আল্লাহতায়ালা নিশ্চয়ই আমাদের সহায় হবেন। আল্লাহ হাফেজ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এসআইএস