বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, গত ১৪ বছরে বাঙালি জাতির আত্মমর্যাদা ভিন্নতর উচ্চতায় পৌঁছেছে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে একটি জাতিকে স্বপ্নচূড়ায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আপনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দ্রুততম ৫টি বিকাশমান অর্থনৈতিক দেশের তালিকায় স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মধ্যে অবকাঠামো, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ জ্বালানি, রপ্তানি খাত, সমুদ্র, মহাকাশ এমন কোনো সেক্টর নাই যেখানে আপনার মাইলফলক অর্জন নেই। কভিড-১৯ এ যখন সারা বিশ্ব বিপন্ন তখন আপনার সমুচিত পদক্ষেপের কারণে মহামারির প্রভাব মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি। জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক উদ্ভাবনী বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশ. স্মাট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনেমি, স্মার্ট সোসাইটির। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কাক্সিক্ষত রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দিকনির্দেশরা প্রদান করা হয়েছে। যাতে রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য গভীরভাবে আশাব্যঞ্জক।
গত ৫-৬ বছরে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে প্রবেশ করছে। স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে পোশাক
কারখানাগুলোতে এবং এর প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। আপনি জেনে খুশি হবেন যে, বিশ্বের যে প্রান্তে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে তার সঙ্গে শিল্পের সংযোগ ঘটানোর জন্য, সেই সঙ্গে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিজিএমইএর নিজস্ব দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
আমরা সবুজ শিল্প এবং সার্র্কুলার ইকোনমি নিয়ে কাজ করছি। আমাদের ১৯৮টি লিড গ্রিন কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ৭১টি প্লাটিনাম রেটের, ১১৩টি গোল্ড রেটের। বিশ্বের বেস্ট ১০০টি লিড সার্টিফাইড ফ্যাক্টরির মধ্যে ৫৪টি আমাদের দেশের। আপনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ডেমোগ্রাফি ডিভিডেন্ট কাজে লাগছে। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এসআইএস