ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে: এফবিসিসিআই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে: এফবিসিসিআই

ঢাকা: ব্যবসায়ীদের শুধু ব্যবসা করলেই হবে না, কমপ্লায়েন্সও অনুসরণ করতে হবে। কল-কারখানায় দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সবার আগে তাদেরই দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সামনের দিনের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে উন্নীত হতে গেলে ব্যবসা-বাণিজ্যে কমপ্লায়েন্সকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমাদের অনেক উদ্যোক্তাই বিষয়টিকে এখনও সেভাবে গুরুত্ব দেয় না। আমি মনে করি, এ বিষয়ে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সচেতন করতে হবে।

সাধারণত কারখানা পরিদর্শনের বিষয়টি নিয়ে উদ্যোক্তাদের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করে উল্লেখ করে জসিম উদ্দিন বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ কোনো কারখানা পরিদর্শনে গেল মানেই এই নয় যে, কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। বরং অবকাঠামোগত ঝুঁকি যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে মালিকপক্ষ তার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পারে। আমরা চাই না কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে যাক। ত্রুটিপূর্ণ কারখানাগুলোকে সহযোগিতা করতে চাই, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের বিনিয়োগকে নিরাপদ করতে চাই।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (পদবি) মিনা মাসুদ উজ্জামান বলেন, আমরা কোনো কারখানাকে সাজা দিতে চাই না। তাদের সংশোধন করতে চাই। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় আমরা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি। সরকারি কর্মকর্তাদের মনোভাব পরিবর্তন হচ্ছে। সহযোগিতা নেওয়ার জন্য আপনাদেরও আন্তরিক হতে হবে। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বেই কারখানা মালিকদের প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নেতৃত্বে চলমান সার্ভে কাম ইন্সপেকশন টিমে এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিল সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে নির্বাচিত চারটি চেম্বার এবং ১২টি সেক্টরাল অ্যাসোসিয়েশনে সেইফটি সেল গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনের মনোনয়নের ভিত্তিতে অগ্নি নিরাপত্তা এবং সেইফটি কমিটির দায়িত্ব বিষয়ে প্রশিক্ষক প্রস্তুত করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহায়তায় গত এক বছরে প্রায় ১০০ কারখানার প্রায় ৩০০০ কর্মীকে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে এবং দুই শতাধিক কারখানার সেইফটি কমিটির প্রায় ১২০০ সদস্যকে তাদের দায়িত্ব পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিতি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা আবু নাঈম মো. শহিদউল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাম্বাসেডর মাসয়ূদ মান্নানসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।