ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

নাইকো মামলা: ভিডিও ফুটেজ দাখিলের অনুমতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২৩
নাইকো মামলা: ভিডিও ফুটেজ দাখিলের অনুমতি

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের দুই সদস্যের পক্ষে ভিডিও ফুটেজ দাখিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন।

 

তবে তাদের পক্ষে পুনরায় জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।  

শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের দুই সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ গত ৩০ ও ৩১ অক্টোবর এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। তবে তারা সাক্ষ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু বলেননি, তাই আমরাও জেরা করিনি। তবে জেরা শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল এই দুজন সাক্ষীর পক্ষে ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর দাখিলকৃত তথাকথিত দুটি বক্তব্য দাখিল করতে সাক্ষী রিকলের আবেদন করেন।  

তিনি আরও বলেন, জেরা শেষে রাষ্ট্রপক্ষ হয়ত সাক্ষীদের দ্বারা নতুন করে সাজানো জবানবন্দি দিতে চেয়েছিলেন। আমরা আদালতকে বলেছি এ পর্যায়ে সাক্ষীর জবানবন্দি নতুন করে গ্রহণের আইনগত কোনো সুযোগ নেই। শুনানি শেষে আদালত সাক্ষীর জবানবন্দি পুনরায় গ্রহণের আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।  

এছাড়া বাদী দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলমকে জেরার জন্য আসামি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলামের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এই জেরার জন্য আদালত আগামী ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।  

এই মামলায় আসামিপক্ষের আরেক আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া এ তথ্য জানান।  

গত ১২ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী মাহবুবুল আলম তার জবানবন্দি শেষ করেন। গত ১৭ অক্টোবর তাকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।  

গত ১৯ মার্চ এই মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলার চার্জ গঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। গত ৩০ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর থেকে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।  

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

অপরদিকে আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৩
কেআই/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।