ঢাকা: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, বৈশ্বিক বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণেই তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি অনেক কমেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সচিবের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, রপ্তানি আদেশ কমেছে বৈশ্বিক অন্য পরিস্থিতির কারণে। রপ্তানিটা হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে। তার মানে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় গত দেড়-দুই বছরে অনেক মুদ্রাস্ফীতি ছিল। যখন মুদ্রাস্ফীতি থাকে, তখন পোশাক কেনার চাহিদাও কমে যায়। এজন্য রপ্তানি কমেছে।
এসময় গার্মেন্ট শ্রমিকনেতা কল্পনা আক্তারকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা।
এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা শ্রম মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এটা নিয়ে তারা কাজ করবেন। যারা ট্রেড ইউনিয়ন করে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কাজ না করেন, এটাই তাদের আর্জি। এখন অনেক শ্রম সংগঠন। আমরাও চাই, শ্রম সংগঠনগুলো যাতে অব্যাহত কাজ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ শ্রমনীতিতে বাংলাদেশ নিয়েও কথা আছে।
সে প্রসঙ্গ তুললে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই শ্রমনীতি নতুন কিছু না। আমি মনে করি, তারা সব দেশকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। এটা কেবল বাংলাদেশের জন্যই না। আমেরিকার প্রশাসন দেখতে চায়, বিভিন্ন দেশের শ্রম অধিকার পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে কিনা। বাংলাদেশ যেমন আইএলও’র সদস্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশও সদস্য। আমেরিকাও আইএলও’র সদস্য। কাজেই মান নির্ধারণের সংস্থা হচ্ছে আইএলও। কাজেই তারা যদি বলে, শ্রম অধিকার এভাবে থাকতে হবে বা দেশের আইন-কানুনও আইএলওর কনভেনশনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে, আমরা সেটা নিয়েও সব দেশ কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সহযোগিতা করে আসছে।
সচিব বলেন, ২০১০ সাল থেকে আমাদের শ্রম আইন চার বার সংশোধন করা হয়েছে। গত মাসেও আমাদের শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত একটা উন্নত ব্যবস্থাপনার দিকে যাচ্ছি। শ্রমিকদের সংগঠন করা সহজ করে দেওয়া হয়েছে। আইএলওর সঙ্গে বসে একটি এসওপি তৈরি করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। সেখানে নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যে এতোদিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০,২০২৩
জিসিজি/এসএএইচ