ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে উৎপাদন বাড়ায় বাজারগুলোতে নতুন আলুর দাম কমেছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা দরে। শুধু ব্রয়লার নয় সোনালি কক, সোনালি হাইব্রিড কক ও লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি কক ৩৩০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩২০, দেশি মুরগি ৫০০-৫২০ ও লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রায় ২ মাস ধরে মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর বিক্রিতে দামের প্রভাব পড়েছে বলেও জানান তারা।
শেওড়াপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। দুই মাস ধরেই মুরগির দাম বাড়ছে। এতে করে আমাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে।
চলতি সপ্তাহে এসব বাজারে পেঁয়াজ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ (পুরাতন) ১২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ (নতুন) ৯০ এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে শীতকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল দেখা গেছে। নতুন আলু কেজিতে ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এই আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০-৮০, ফুলকপি ৪০-৬০, বাঁধা কপি ৪০-৫০, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৫০-৭০, কাঁচা টমেটো ৩০, কচুরমুখী ১০০ এবং গাজর ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০, ঢেঁড়স ১০০, পটল ৮০, বরবটি ১২০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, খিরাই ৪০-৫০, শসা ৬০, পেঁপে ৪০, ধনে পাতা ১০০-১৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০, জালি কুমড়া ৪০, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, লেবুর হালি ২০-৪০ টাকা এবং কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ৬০ টাকা, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে , পেঁয়াজের ফুলকলি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।
শুক্রবার এসব বাজারে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০-৫৫০, মাগুর মাছ ৭০০-৯০০, মৃগেল ৩০০-৪৫০, পাঙ্গাস ২০০-২২০, চিংড়ি ৬০০-৮০০, বোয়ালমাছ ৪০০-৯০০, কাতল ৪০০-৬০০, পোয়া মাছ ৩৫০-৪০০, পাবদা মাছ ৪০০-৪৫০, তেলাপিয়া ২২০, কৈ মাছ ২২০-২৩০, মলা ৫০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, টেংরা মাছ ৬০০-৭০০, কাচকি মাছ ৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১০০০, বাইম মাছ ১০০০-১২০০, দেশি কই ১০০০, সোল মাছ ৬০০-৮০০, আড়ই মাছ ৬০০-৮০০ এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৪
এসএমএকে/এফআর