ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খোঁজার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৪
রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খোঁজার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: ফোকাস বাংলা

ঢাকা: রপ্তানি বাড়াতে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন ও বাজার খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আরও নজর দিতে হবে। নতুন নতুন পণ্য আরও উৎপাদন করা, নতুন নতুন বাজার, একটা দুইটার ওপর আমাদের নির্ভরশীল থাকলে চলবে না।

তিনি বলেন, আমরা ইশতেহার দিয়েছি ২০৩০ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় বাড়াবো ১৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। তবে এটার জন্য নতুন বাজার ধরতে হবে। এক্ষেত্রে সময় খুব কম, তারপরও আমার মনে হয় একটা লক্ষ্য স্থির থাকলে যেকোনো অর্জন সম্ভব হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম সারা বিশ্বব্যাপী বেড়েছে। আমাদের দেশে তো বেড়েছেই, বাইরে আরও অনেক বেশি বেড়েছে। যার ফলে মানুষের, উন্নত দেশগুলোর কথাই বলবো, ইউরোপ-আমেরিকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কিন্তু অনেক কমে গেছে। তাই পণ্য চাহিদাটাও তাদের হ্রাস পাচ্ছে। সেটা মাথায় রেখে আমাদের নতুন বাজার খুঁজতে হবে, নতুন জায়গায় যেতে হবে।

এ সময় পণ্যমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পাট-পাটজাত পণ্য, পাট ও চামড়ার সংমিশ্রণে যেসব পণ্য হয় তার বিরাট বাজার রয়েছে বিশ্বব্যাপী, এ সেক্টরে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

গার্মেন্টেসের মতো অন্যান্য সেক্টরে সুবিধা দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টসকে যে সুযোগগুলো দিচ্ছি, পাটকে কৃষি পণ্য হিসেবে সে সুযোগ দেওয়া, গার্মেন্টসকে যেসব সুযোগ দিচ্ছি অন্যান্য সেক্টরেও সে সুযোগ দেওয়া দরকার।  

আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য আনার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, একটা অনুরোধ করবো আপনাদের, আমাদের আমদানি-রপ্তানিতে একটা ভারসাম্য বজায় রাখা একান্তভাবে দরকার। আপনারা রপ্তানি করেন, রপ্তানি করার সময় যে অর্থ ব্যবহার হয়, তার যে রিটার্নটা আসবে ঠিক চাহিদা মোতাবেক তা আসে না। সেদিকে সবাইকে একটু যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানাই।  

হস্তশিল্পজাত পণ্যকে বর্ষ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা চাই এবার যে বর্ষ পণ্য হস্তশিল্পজাত পণ্য, এটা আমাদের নারীদের কর্মসংস্থান বাড়াবে। অর্থনৈতিকভাবে নারীরা স্বাবলম্বিতা অর্জন করতে পারবে। যারা গৃহকর্ম করেন তারা গৃহকর্মের পাশাপাশি কিছু কাজ করতে পারবেন। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।  

জনগণকে ধন্যবাদকে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ধন্যবাদ জানাই, তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটের মাধ্যমে আমাদের আবার তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে।

তিনি বলেন, টানা চারবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। আমার কাছে ক্ষমতা কোনো ভোগের বস্তু না। আমার কাছে ক্ষমতা হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের একটা সুযোগ। মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ। মানুষকে সেবা দেওয়ার একটা সুযোগ আমি আবার পেয়েছি।

যৌথভাবে এ মেলা আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৪
এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।