ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দুরন্ত বিপ্লব কৃষি পুরস্কার পেলেন তিন কৃষক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪
দুরন্ত বিপ্লব কৃষি পুরস্কার পেলেন তিন কৃষক

ঢাকা: প্রথমবারের মতো ‘দুরন্ত বিপ্লব কৃষি পুরস্কার- ১৪৩০’ পেয়েছেন তিন কৃষক। নব্বইয়ের দশকের প্রয়াত ছাত্রনেতা দুরন্ত বিপ্লবের অনুসারী কিছু কৃষকের গড়া সংগঠন ‘দেশি চালের হাট’ এ পুরস্কার দিয়েছে।

এ বছর দেশি ধান উৎপাদক ক্যাটাগরিতে শাহাদাত হোসেন, দেশি চাল প্রস্তুতকারক ক্যাটাগরিতে তৌকির আহমেদ (মনজু), দেশি চাল বিপণনকারী ক্যাটাগরিতে গোলাম সারোয়ার লিটন পুরস্কার পেয়েছেন।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ পুরস্কার তিন কৃষকের হাতে তুলে দেন প্রয়াত দুরন্ত বিপ্লবের বোন শাশ্বতী বিপ্লব ও ভাই দুর্জয় বিপ্লব।

এ সময় শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, বাংলার আদি ও অর্গানিক কৃষি এগিয়ে যাবে, এটাই আমার ভাই দুরন্ত বিপ্লবের প্রচেষ্টা ছিল। আমার ভাইয়ের স্লোগান ছিল,  ‘দেশবাসী চলেন ভাই, কৃষিকাজে মন লাগাই’।  

এসময় ভাইকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, অন্যায়ভাবে মেরে ফেলা হলো, শারীরিকভাবে মেরে ফেলা হলেও তার আদর্শকে মেরে ফেলা সম্ভব না। ভাই হত্যার বিচার দাবি করে যাবো।

দুর্জয় বিপ্লব বলেন, ভাই দীর্ঘদিন কৃষিকাজ করার চেষ্টা করেছেন। পশুখাদ্য থেকে শুরু করে কৃষির অনেক কিছু নিয়ে গবেষণা করতেন। ভাইয়ের স্বপ্ন আপনারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন, এটাই প্রত্যাশা।

‘দুরন্ত বিপ্লব কৃষি পুরস্কার’র উদ্যোক্তা হাসান মাহাদী বলেন, দুরন্ত বিপ্লবের একটা স্বপ্ন কুড়ি থেকে মহীরূহ হয়ে উঠছে, কিন্তু তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর তিনি কেরানীগঞ্জ থেকে নিখোঁজ হন এবং ১২ নভেম্বর নায়ারণগঞ্জের কাছে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

চালের হাটের উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে দুরন্ত বিপ্লবের নামে এই কৃষি পুরস্কার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানান হাসান মাহাদী।

পদকজয়ী কৃষক শাহাদাত হোসেন চার বছর ধরে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত। এর আগে তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।  

চাকরি ছেড়ে কৃষিকাজে মনোনিবেশের কারণ জানিয়ে এ কৃষক বলেন, শারীরিক-মানসিক যন্ত্রণায় চাকরি ভালো লাগতো না। এরপর কৃষির সঙ্গে জড়িত হয়েছি।

পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করা এ কৃষক বলেন, কৃষি সাধারণভাবে চাষ করতাম। এখন আদি জাতের ফসল চাষ করছি। মানুষের এটাই চাষ করা উচিত। প্রথমে লাভ কম হয়েছে, তবে খরচ কম, এজন্য স্বস্তি আর শান্তি পাওয়া যায়। স্বস্তিতে কাজ করা যায়, এখন লাভ হচ্ছে। এক একর জায়গায় চার জাতের ধান চাষ করছি।

দেশি চাল প্রস্তুতকারক ক্যাটাগরিতে পদকজয়ী কিশোরগঞ্জ সদরের নীলগঞ্জের তৌকির আহমেদ (মনজু) বলেন, ২০০৯ সাল থেকে কৃষির সঙ্গে যুক্ত।  দেশি চাল স্বাস্থ্যসম্মত, এজন্য কৃষকদের উদ্যোক্তা বানাতে কাজ করছি, যেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। পুরস্কার পেয়ে গর্বিত লাগছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪
এনবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।