ঢাকা: বাড়ির কাছে লেনদেন সুবিধা থাকায় নারীরা হিসাব খুলে সঞ্চয় করতে পারছেন। এজন্য পুরুষের তুলনায় নারীদের হিসাব নম্বর বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর নাগাদ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতের জন্য খোলা হিসাবের সংখ্যা দুই কোটি ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪৭টি। এর মধ্যে পুরুষের হিসাব রয়েছে এক কোটি তিন লাখ ৯৫ হাজার ২৯৭টি। আর নারীর আমানত অ্যাকাউন্ট নম্বর এক কোটি পাঁচ লাখ তিন হাজার ৮৫০টি। পুরুষের চেয়ে নারীর আমানত হিসাব এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৩টি বেশি।
এদিকে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষরা এগিয়ে আছে। ঋণ নেওয়া হিসাবের তথ্য বলছে নারীর তুলনায় পুরুষরা ৪১ হাজার ৫০২টি বেশি, এক লাখ ২৩ হাজার ৯০৯টি অ্যাকাউন্ট খুলে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে ঋণ নিয়েছে। অন্যদিকে নারীরা এক তৃতীয়াংশ কম অর্থাৎ নারী ৮২ হাজার ২০৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে ঋণ নিয়েছে।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অর্থ হলো, একটি বৈধ এজেন্সি চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা এজেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দেওয়া। নিজস্ব বিক্রয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এমন ব্যক্তি বা এনজিও এজেন্ট হন এবং কোনো ব্যাংকের হয়ে গ্রাহকদের আর্থিক সেবা দিয়ে থাকেন।
দেশের দুর্গম, পাহাড়ি, প্রত্যন্ত ও কম ঘনবসতি এলাকা যেখানে ব্যাংকিং সুবিধা এখনো পৌঁছায়নি কিংবা যেখানে ব্যাংকের শাখা খুললেও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়ার মতো গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সবল হয়ে উঠছে, এমন মানুষের এজেন্টের মাধ্যমে সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হয়।
শহরের যেসব জনগোষ্ঠী এখনো ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসেনি বা যারা ব্যাংকে লেনদেনে এখনো অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি, তাদেরও এজেন্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সালে এজেন্টে ব্যাংকিং যাত্রা শুরু করে। টাকা জমা ও উত্তোলনের পাশাপাশি বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স সংগ্রহ ও ঋণের কিস্তি আদায়, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ইউটিলিটি বিল এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। শুরুতে ঋণ বিতরণ সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে তা শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
জেডএ/এএটি