ঢাকা: বিভিন্ন স্টলে সাজানো বাহারি নকশার স্বর্ণালঙ্কার, যা দেশের নিজস্ব ঘরানার। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) ফেয়ারে এমন আয়োজন মুগ্ধ করেছে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের।
বৃহস্পতিবার (৮ সেব্রুয়ারি) রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘বাজুস ফেয়ার- ২০২৪’ শুরু হয়েছে। জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে দেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাজুসের আয়োজনে তিন দিনের এ মেলা হচ্ছে।
উদ্বোধনী দিনে বাজুস ফেয়ারে উপস্থিত হন ঢাকায় নিযুক্ত কসোভোর ডেপুটি হেড অব মিশন ভিসার ক্লুনা ও শ্রীলংকান দূতাবাসের ট্রেড কাউন্সিলর শ্রমলি জয়ার্থনা। তারা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। বাংলাদেশের নিজস্ব ডিজাইনের স্বর্ণালংকারের এ মেলা অনেক দূরে যাবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
ঢাকায় নিযুক্ত কসোভোর ডেপুটি হেড অব মিশন ভিসার ক্লুনা বলেন, এ মেলা খুবই আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর হয়েছে। এত সুন্দর ও আকর্ষণীয় স্বর্ণের মেলা দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মেলায় অনেক স্টল আছে। প্রতিটি স্টলেই চমৎকার ও আকর্ষণীয় স্বর্ণের অলংকার রাখা হয়েছে। প্রতিটি স্বর্ণই উচ্চগুণগত মানসম্পন্ন ও সহজলভ্য। এতো সুন্দর মেলার আয়োজন আমাদের মনে গেঁথে থাকবে।
মেলা ঘুরে দেখেন শ্রীলংকান দূতাবাসের ট্রেড কাউন্সিলর শ্রমলি জয়ার্থনা। তিনি প্রতিটি স্টলে ভিন্ন ডিজাইনের স্বর্ণালঙ্কার দেখেন। বাংলানিউজের কাছে মেলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ মেলার আয়োজন খুবই ভালো উদ্যোগ। এটি গ্রাহকের সঙ্গে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংযোগ করে দেওয়ার ভূমিকা রাখবে এবং স্বর্ণশিল্পকে দেশের গণ্ডি থেকে আন্তর্জাতিক পরিসরে নিয়ে যাবে।
দেশের অর্থনীতিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখা বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন বাজুস ফেয়ার ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।
বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকেট লাগবে না। এবার বাজুস ফেয়ারে ৯টি প্যাভিলিয়ন, ১৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৫টি স্টলে দেশের স্বনামধন্য ৪১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
জেডএ/এফআর