দিনাজপুর: দেশে আবারও অস্থির পেঁয়াজের বাজার। তরকারি রান্নার অপরিহার্য উপাদান পেঁয়াজের দাম কয়েক দফায় বেড়ে সেঞ্চুরি পার হয়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) হিলিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই চিত্র দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজারেও। সরবরাহ কম ও চাহিদা বেশি থাকায় এই দাম বেড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
হিলির স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মাইনুদ্দিন ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ আগে ৭০ টাকা কেজি দরে তিন কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আজকে সেই পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ১২০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা কেজিতে দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য দাম বেড়ে যাওয়া কষ্টকর বিষয়। রাতারাতি যদি পেঁয়াজের দাম এভাবে বেড়ে যায়, তাহলে তো সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে পেঁয়াজের দাম না কমলেও স্থিতিশীল থাকত।
হিলি স্থলবন্দর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, এক সপ্তাহ আগে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। এখন আমরা ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনছি। আর ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। পরিবহন খরচ থাকে, কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমরা বেশি দামে কিনছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতারাও বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকেন, এত দাম বাড়ছে কেন। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার থাকে না। সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি। এজন্য পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
একই চিত্র দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজারে। স্থানীয় পেঁয়াজ উঠতে এখনো সময় লাগবে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন অনেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বা পাতা পেঁয়াজ কিনছেন। তবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে মুড়িকাটা পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে।
কথা হলে শহরের বালুয়াডাঙ্গা থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম তো বাড়ছেই। বাধ্য হয়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কিনতাম। এখন মুড়িকাঁটা পেয়াজেও ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। আগে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি কিনেছি। আজকে ৬০ টাকা দরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কিনেছি।
দেশের অভ্যন্তরে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যা চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
আরএইচ