ঢাকা: পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতার ভোজনরসিকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকলেও যানজট ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অনেকেই আর এখন সেখানে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। এক্ষেত্রে পুরান ঢাকার বিকল্প হয়ে উঠেছে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ইফতার বাজার।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েসংলগ্ন সড়কের পাশে আইসিসিবির ‘পুরান ঢাকা ইফতার বাজারে’ সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ইফতার সামগ্রী কিনতে আসছেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব বয়সের ক্রেতারা। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাহারি পদের ইফতার সামগ্রী থেকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী খাবার কিনে নিচ্ছেন তারা।
আইসিসিবির পুষ্পাঞ্জলি হলের এই বাজারে ৩২টি স্টল রয়েছে। এখানে পুরান ঢাকার বিখ্যাত বিরিয়ানি, কাবাব, রোস্ট, হালিম, তেহারি, চপ, রসগোল্লা, শাহী পরোটাসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি তাজা ফলের জুসের সমাহারও রয়েছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ বাজারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাহারি ইফতারের স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন ভোজনরসিকরা।
ইফতার কিনে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এই বাজারে রোজাদাররা বসে মনোরম পরিবেশে ইফতার করারও সুযোগ পাচ্ছেন। একইসঙ্গে এখানে রয়েছে সুবিশাল গাড়ি পার্কিং সুবিধা।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সাকিব পরিবারের জন্য ইফতার কিনতে এসেছেন আইসিসিবিতে। কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতি বছর রমজান মাসে আইসিসিবির ইফতার বাজার থেকে ইফতার কিনি। এখানে পুরান ঢাকার সব ধরনের ইফতার সামগ্রী পাওয়া যায়। এখানকার প্রতিটি আইটেম খুব ভালো এবং সুস্বাদু। পাশাপাশি এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত পরিষ্কার-পরিছন্ন এবং ভালো, যার কারণে এখানে ইফতার কিনতে আসি।
ইফতার বাজারের দায়িত্বে থাকা আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এ ইফতার বাজারে সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা রয়েছে। ক্রেতারা এখানে বসেও ইফতার করতে পারেন, আবার চাইলে পরিবারের জন্য নিয়েও যেতে পারেন। আমাদের এখানে বিশাল কার পার্কিং, সিসি ক্যামেরা, হাই সিকিউরিটির সুবিধা রয়েছে। পরিবেশ অত্যন্ত পরিষ্কার-পরিছন্ন। পাশাপাশি রোজাদারদের স্বাস্থ্য বিবেচনায় আমাদের খাবারের মান অত্যন্ত ভালো। সব কিছু মিলিয়ে এখানকার ইফতার বাজার ক্রেতাবান্ধব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৪
আরকেআর/এইচএ/