ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ কার্যকরের প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ কার্যকরের প্রস্তাব

ঢাকা: দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ কার্যকরের প্রস্তাব জানিয়েছে দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতি।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় সমিতির প্রতিনিধি ইকবাল আনোয়ার এ প্রস্তাব জানান।

সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সিগারেটকে বিদায় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন বাস্তবতায় নিম্নস্তরের সিগারেটের ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সরকারের লক্ষ্য।  

এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিদেশি ভালো মানের ব্র্যান্ডের সিগারেট দাম ও কর হার বাড়িয়ে এবং শুধুমাত্র মধ্যমস্তরে উৎপাদনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে ধূমপায়ীর সংখ্যা এবং জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।  

দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির দৃঢ় বিশ্বাস, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে চলতি বছরের সমপরিমাণ শলাকা বিক্রয় করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে প্রাক্কলিত রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি।

সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমানোর ধারাবাহিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অপরিহার্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক বিখ্যাত ভালো ব্র্যান্ডের সিগারেট নিম্নস্তরে কম মূল্যে বাজারজাত করার সুযোগ থাকায় তা গ্রামগঞ্জ, হাটবাজার, শহরের অলিগলি সর্বত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে ধূমপায়ীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি ক্রমাগতভাবে বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে।

বর্তমানে নিম্নস্তরের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, বিদেশি কোম্পানির অতি উচ্চ ও ভালো ব্র্যান্ডের সিগারেট প্রায় ৯০ শতাংশ বাজার শেয়ার দখল করে আছে। ফলে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমার সম্ভাবনা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির প্রস্তাব, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে এবং ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে এনে সিগারেটকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাজার থেকে বিদায় করার জন্য এদের দাম ও কর হার বাড়িয়ে মধ্যমস্তরে উৎপাদন এবং নিম্নস্তরের বর্তমান দাম ও কর হার অপরিবর্তিত রাখা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআই যৌথভাবে এ সভা আয়োজন করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
টিএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।