ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাহিদা বেড়েছে দেশি ফলের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
চাহিদা বেড়েছে দেশি ফলের

ঢাকা: তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে ফলের জুসের জুড়ি নেই। এতে তৃষ্ণা যেমন মেটে, তেমনি গরমে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদাও মেটে।

ফলে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে ফল বিক্রি। তবে বিদেশি ফলের দাম বেশি হওয়ায় দেশি ফল কেনায় ঝুঁকছেন ক্রেতারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ দুই বাজারে বিদেশি ফলের তুলনায় দেশি ফলের চাহিদা ছিল বেশি।

বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে দেশি ফলের মধ্যে আকার ও মানভেদে প্রতিপিস ডাব ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, আনারস ২০ থেকে ৬০ টাকা, বেল ২০ থেকে ২০০ টাকা, তরমুজ ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, বাঙ্গি ৭০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁঠাল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রতিকেজি কাঁচা আম ৬০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা আম ১৬০ থেকে ২৬০ টাকা, তেঁতুল ৪০০ টাকা, পেয়ারা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সফেদা ১২০ টাকা, আতা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বিদেশি ফলের মধ্যে প্রতিকেজি মাল্টা ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, নাশপতি ২৬০ টাকা, ডালিম ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, সাদা আঙুর ৩০০ টাকা, কালো আঙুর ৪৫০ টাকা, সাউথ আফ্রিকার কমলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, গালা আপেল ২৮০ টাকা, সবুজ আপেল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, ফুজি আপেল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, ড্রাগন ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মগেটের ফল বিক্রেতা মো. হাসান বলেন, বিদেশি ফলের তুলনায় দেশি ফলের চাহিদা ভালো। কারণ বিদেশি ফলের দাম মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে নেই। তাই দেশি ফল দিয়েই চাহিদা মেটাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে বিদেশি ফল যে একেবারেই বিক্রি হয় না, তা নয়। যে যার রুচি মতো কেনে। এখন দেশি মৌসুমি ফল কম। কয়েকদিন পর আম, জাম, কাঁঠালের মতো মৌসুমি ফল এলে দেশি ফলের চাহিদা আরও বাড়বে।

একই কথা বলেন কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা সুমন। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি দুই ধরনের ফলই বিক্রি হয়। যে যার ইচ্ছে মতো কেনে। যাদের টাকা আছে তারা আপেল, কমলা, আঙুর এগুলো কেনে। যাদের টাকা নেই তারা কম দামি দেশি ফল কেনে।

তবে ক্রেতারা বলছেন, দেশি ফলেরই যে দাম তাতে বিদেশি ফলের দিকে হাত দেওয়াই কঠিন তাদের জন্য। তাই নিরুপায় হয়ে দেশি ফল দিয়েই চাহিদা মেটাচ্ছেন তারা।

জাকারিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, এ গরমে শরীর ঠিক রাখতে শরবত খাওয়া দরকার। কমলা, আঙুর এগুলো দিয়ে শরবত ভালো হলেও আমাদের কেনার সামর্থ্য নেই। এগুলো আমাদের জন্য বিলাসী পণ্য। তাই মাঝে মধ্যে তরমুজ, পেঁপে কিনে নিয়ে যাই পরিবারের জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।