ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: শুধু নগরকেন্দ্রিক উন্নয়নে আবদ্ধ না থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনকে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।  

তিনি বলেন, এসএমই মেলা উদ্যোক্তাদের ব্যবসা বিকাশে সহায়তা করছে।

নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।

সোমবার (২০ মে) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট অর্থায়ন: প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের মূলধারার জন্য সম্ভাব্য সমাধান’ জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলেখা রানী বসু। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী।  

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যখন ঋণ দেবে, তাকে তো কিছুর ওপর ঋণ দিতে হবে। সেটা যে অংকের ঋণই হোক। ২০২৪ এসে শুনতে হয় আমি ব্যবসার হিসাব রাখতে পারছি না। কত টাকা বিক্রি করছি, কত টাকার কিনছি তার হিসাব রাখতে পারছি না। যে জন্য ব্যাংকে যেতে পারছি না। কাচা খাতা বা এখন মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে হিসাব রাখা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে উদ্যোক্তারা অনলাইন ও ইউটিউব থেকে ব্যবসার অভিজ্ঞতা নিতে পারে।  

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর বাজেটে একশ কোটি টাকা রাখা হয় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য। সেটা ব্যবহার হয় না। কারণ নানা ধরনের শর্তের জন্য। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বারংবার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তারা যদি আরেকটু তৎপর হন তাহলে তাদের ব্যবসার অর্থায়নের যথেষ্ট সুযোগ আছে। আমরা স্মার্ট ফাইন্যান্সিং করছি। এজন্য উদ্যোক্তাদের মাথায় রাখতে হবে। পাঁচ বছর পর ব্যবসা কোথায় নেবেন, সে বিষয়ে পরিকল্পনা থাকতে হবে। সরকারের দেওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।  

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ধারায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্রশিল্প করপোরেশন (ইপসিক) প্রতিষ্ঠা করেন। যার বর্তমান নাম বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। জাতির পিতার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার শিল্পনীতি-২০১৬ ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছে। এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সেমিনারে বক্তব্য দেন- সিটি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ, এসবিকে টেক ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব এসএমই মো. জাকিরুল ইসলাম। সেমিনারে এসএমই খাতের উদ্যোক্তা, ব্যাংক ও ব্যবসা সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।