ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘এখন ব্যাংকের ঋণ নিয়ে ব্যাংক কিনে ফেলা হচ্ছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
‘এখন ব্যাংকের ঋণ নিয়ে ব্যাংক কিনে ফেলা হচ্ছে’

ঢাকা: এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাংক কিনে ফেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এনামুল হক।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইআরএফ মিলনায়তনে ‘অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট’ শীর্ষক আলোচনায সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক এ কে এনামুল হক বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য এখন বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চায়ন নিশ্চিত করতে হবে। বিনিয়োগকারীরা মুনাফা যদি বিদেশে না নিয়ে যেতে পারে তাহলে তারা বিনিয়োগ করবে না।

তিনি বলেন, দেশের শিল্পের দেখাশোনা করার জন্য কোনো মন্ত্রণালয় নেই। একজন শিল্পমন্ত্রী আছেন তিনি সরকারি শিল্পকারখানা দেখেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আছে, সেখানকার মন্ত্রী বেসরকারি ব্যবসা-বাণিজ্য দেখেন। দেশের শিল্প দেখবে এমন মন্ত্রণালয় দেশে নেই।

অধ্যাপক এনামুল হক আরও বলেন, যত ধনী লোক আছে সবাই বিদেশে চলে যেতে চায়। শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। বাংলাদেশে ব্যবসা করে বিদেশে গিয়ে সেরা ধনী লোক হয়ে বসে আছে। তার মানে হলো, তারাও দেশে থাকতে চাইছে না। এটা রোধ করতে হলে অর্থনীতিকে রিফর্ম করতে হবে। অর্থনীতিকে রিফর্ম না করলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।

ব্যাংক এখন কাজ করছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংক এখন কয়েকজন মানুষের হাতের মুঠোয়। ব্যাংক খেলাপি নামের যে শব্দগুলো শুনছেন এগুলো গৎবাঁধা শব্দ। এগুলোর কোনো পরিবর্তন হবে না, যতক্ষণ না ব্যাংকিং খ্যাত রিফর্ম না হয়। ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া হয় ব্যবসা করার জন্য। এখন যেটা হচ্ছে, ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ব্যাংক কিনে ফেলছে। এই অবস্থায় বিনিয়োগ আশা করা যায় না। নতুন অর্থমন্ত্রী হয়েছেন, আশা করেছিলাম এই বিষয়গুলো সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা থাকবে। কিন্তু সেটা পাওয়া যায়নি।

মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান এই অধ্যাপক। প্রস্তুতি ছাড়া মধ্যম আয়ের দেশ হবে না। এ জন্য মধ্যম আয়ের উপযোগী সত্যিকার আয় করতে হবে। এ জন্য জীবনবিমা নিশ্চিত করতে হবে।  তা না হলে বৃদ্ধ মানুষ রাস্তায় পড়ে মরে থাকবে।

তিনি বলেন, এখন অর্থনীতির পাশাপাশি মানুষ বিশ্বাস করে, ভরসা করতে পারে এমন স্থিতিশীল নীতিও নিশ্চিত করতে হবে।

ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের আরও বক্তব্য রাখেন বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপত মোহাম্মদ আলী খোকন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।