ঢাকা: তৈরি পোশাক খাতে অস্থিতিশীলতার পেছনে দুটি কারণ দেখছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। কারণ দুটি হলো - বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং শ্রমিকদের কিছু যৌক্তিক দাবি।
এ দুটি কারণে পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে ও এতে অর্ডার ক্যান্সেল হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (সেপ্টেম্বর ১২) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পোশাক কারখানায় চলমান অস্থিরতার বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, এখানে ভেতরে ষড়যন্ত্র যেমন আছে আবার শ্রমিকদের জেনুইন কিছু দাবিও আছে। দীর্ঘ ১৬ বছর শ্রমিকরা যে বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তারা তাদের কথাগুলো বলতে পারতেন না। যে দাবিগুলো আছে সেগুলো একটা প্রসেসের মাধ্যমে আমাদের কাছে এলে আমরা সেগুলো সমাধান করবো।
উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হবে জানিয়ে শ্রমবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, যারা সেখানে বহিরাগত এবং ঝুটব্যবসা দখল করাকে কেন্দ্র করে সেখানে অস্থিতিশীলতা করছে বা সেখানে উসকানি দিচ্ছে তাদের ব্যাপারে সরকার ইতোমধ্যে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
খুব দ্রুততম সময়ে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো সরকার সমাধান করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কিছু রিপোর্ট পেয়েছি যেটা ঐদিকেই (ষড়যন্ত্র) ইঙ্গিত করে। রেজাল্টটা যদি আপনারা দেখেন এই সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে, আসলে এটাতো সিজনাল বিজনেস, ৩ মাস আগে আমাদের মালিকপক্ষকে প্রস্তুত করতে হয়, ৩ মাস পরে যে অর্ডারটা মার্কেটে যাবে, সেটাকে প্রস্তুত করতে হয়। সে অর্ডারগুলো কিন্তু অনেক জায়গায় ক্যান্সেল হয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার ক্যান্সেল হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু নির্দিষ্ট দেশের বায়াররা এসে এই অর্ডারগুলো নেওয়ার জন্য লবিং করছেন, উঠেপড়ে লেগেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের শ্রম কল্যাণ সংস্থান মন্ত্রণালয়ের যিনি নতুন সচিব তিনি এ কথা বলেছেন। আসলে রেজাল্ট দেখে লক্ষণটা বোঝা যায়। আমরা আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আনরেস্ট আছে এটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আসলে এখনো কোনো শ্রমিক তার ফ্যাক্টরিতে হামলা করবে না কখনো। তাহলে মাস শেষে সে বেতনটা পাবে না। ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় শ্রমিকের। আর মালিক তো বিত্তশালী। কোনো শ্রমিক এখনো ফ্যাক্টরিতে হামলা করেনি, এ ধরনের কোন ঘটনা আমরা পাইনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি বেকার যুব সংঘের নামে যারা বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে হামলা করেছে অনেক ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকরা বেরিয়ে এসে প্রতিহত করেছে। আপনারা দেখেছেন বেকার যুবসংঘের একজনকে নেত্রকোণা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছেন। দেখা গেলো তিনি ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
এমইউএম/এসএএইচ