ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্রেতারা পাশে দাঁড়িয়েছে, এখন ঘুরে দাঁড়ানোর পালা: শ্রম সচিব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
ক্রেতারা পাশে দাঁড়িয়েছে, এখন ঘুরে দাঁড়ানোর পালা: শ্রম সচিব

নারায়ণগঞ্জ: শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেছেন, ইউরোপ আমেরিকার ক্রেতারা (বায়ার) আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা।

 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বিকেএমইএ ভবনে সংগঠনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত  মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সচিব বলেন, যে কোনো মূল্যে ইন্ডাস্ট্রির চাকা চালু রাখতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেলে মালিকদের যেমন লোকসান হবে তেমনি শ্রমিকরাও কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশ থেকে অনেক অর্ডার চলে গেছে, ক্রিসমাসের অর্ডার বেশিরভাগই চলে গেছে। পাশাপাশি আন্দোলনের সময় অনেকদিন ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ ছিল। এছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এগুলো মেনে নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দাবি হল বেতন বাড়ানোর। এখানে মজুরি বোর্ড আছে। এটা দেখতে হবে। তবে এটার জন্য রাস্তা বন্ধ করে দিলে তো সমাধান হবে না।

তিনি বলেন, এখানে মেরিটের ওপর ভিত্তি করে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আমাদের জেন্ডার ইস্যু বায়ারদের জন্য ইম্পর্ট্যান্ট। এখানে পিছিয়ে পড়া নারীরা কাজ করছে। এটা বায়ারদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

শ্রমঘন এলাকাগুলোতে আমরা টিসিবির সঙ্গে কথা বলে এই এলাকাগুলোতে পণ্য বিক্রি বাড়ানোসহ প্রণোদনার মতো ব্যবস্থা করছি। এখানে অনেক দাবি এসেছে। আমরা এগুলো প্রক্রিয়া অনুযায়ী করবো। আবার অনেক দাবি আছে অযৌক্তিক।

শ্রম সচিব বলেন, আমি মালিক পক্ষকে নিয়ে হতাশ। আমাদের শ্রমিক প্রতিনিধিদের কথা শোনার ধৈর্য্য না থাকলে তো এটা সমাধান হবে না। কথা শুনতে হবে। শ্রমিকদের সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের অনেক বিভেদ রয়েছে। আমাদের এসকল জায়গায় ফোকাস করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগষ্টের পর অনেক বড় বড় মালিক পালিয়ে গেছে, আইনের আওতায় চলে এসেছে। সেখানে বেতন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। প্রথমে বেক্সিমকো থেকে এ সমস্যা শুরু হয়। সরকার ইতোমধ্যে একটি ফান্ড তৈরি করে সমাধান করেছে। আমি মনে করি এগুলো বড় কোনো সমস্যা না।

শফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের একটি কমিটি রয়েছে। আপনাদের যত আবেদন সেখানে দেন। ইতোমধ্যে আমার কাছে ১৩৮টি অভিযোগ এসেছে। প্রতিটি অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখবো। যারা এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছেন, আমি শ্রমিক নেতাদের বলব, ফৌজদারি অপরাধীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। যারা আগুন দিয়েছে, তাদের ধরলে আপনারা ব্যারিকেড দিয়ে আবার বলবেন ছেড়ে দিতে, সেটা করা যাবে না। অনেক কমিটি পলিটিসাইজ হয়ে গেছে। আমরা এগুলো সংস্কার করবো।

তিনি বলেন, যে কোনো সময় আপনারা পরামর্শ দেবেন। আমরা আইনগতভাবে আপনাদের সহায়তা প্রদান করবো। এক হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। আমরা কিন্তু গুলির সামনে দাঁড়ানোর সাহস করতাম না, কিন্তু তারা করেছে। ওরা আন্দোলন করেছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে।  

এ সময় বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, সেনাবাহিনীর নারায়ণগঞ্জ জেলার কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আতিক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
এমআরপি/নিউজ ডেস্ক 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।