ঢাকা: খাদ্যপণ্য নিয়ে প্রতিমাসেই সুখবর দিচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে খাদ্য ও সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলি, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা উপকরণ ও পরিবহন খরচের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হয়ে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
বিবিএস সূত্র জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের নভেম্বরে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৪৮ ভাগ।
অর্থাৎ নভেম্বর মাসে একজন ক্রেতাকে ১০০ টাকার খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে ১০৫ টাকা ৮৪ পয়সা গুনতে হয়েছিল। একমাসের ব্যবধানে ১০০ টাকার খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে খরচ করতে হচ্ছে ১০৬ টাকা ৪৮ পয়সা।
বিবিএস সূত্রে জানা যায়, সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ২১ শতাংশ, যা কমে ডিসেম্বরে ৬ দশমিক ১১ শতংশে দাঁড়িয়েছে।
একই সময়ে নভেম্বরে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
সশ্লিষ্টরা বলছেন, চাল, ডাল, মাছ, মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও তামাক জাতীয় পণ্যের মূল্য কমে যাওয়ায় নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।
তবে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। কারণ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে কমেছে মজুরির হার। পয়েন্টু টু পয়েন্টের ভিত্তিতে নভেম্বরে এ হার ছিল ১০ দশমিক ৩২ টাকা।
তবে ডিসেম্বরে তা হয়েছে ১০ দশমিক ০২ শতাংশে। মজুরি হার কমে যাওয়ায় নিত্য পণ্যের ক্রয় ক্ষমতায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস হয়েছে।
খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, খাদ্য বহির্ভূত পণ্য বেশি রফতানি হয়েছে। এজন্য মূল্যস্ফীতির হারও বেড়েছে।
দেশে চাহিদার তুলনায় খাদ্য পণ্যের উৎপাদন বাড়ায় এখাতে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের দাম বাড়ার কারণে নন-ফুডে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫