ঢাকা: আনন্দ শিপইয়ার্ডের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় আরব-বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংক লিমিটেডের ১০ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদেরকে তলব করে ব্যাংকের এমডির কাছে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটির উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের আগামী ১৩ জানুয়ারি দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন— এবি ব্যাংকের প্রধান শাখার ডিএমডি ফারুক এম আহমেদ, একই শাখার এসভিপি ওয়াসিকা আফরোজী, এসভিপি সালমা আক্তার, ভিপি শামীম এ মোর্শেদ, ইভিপি আখতার হামিদ খান, এভিপি মঞ্জুর মফিজ, ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখার ইভিপি চৌধুরী মঞ্জুর লিয়াকত, একই শাখার ইভিপি মাহবুবুজ্জামান, এসএভিপি কাজী আশরাফ আলী ও এভিপি মো. আল মামুন।
ঘটনার সময়কালে যে কর্মকর্তা যে পদে ছিলেন সে অনুযায়ী তাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দুদক যাদের তলব করেছে তাদের কেউ বর্তমানে এ পদে নেই। আবার কেউ বা অন্য ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।
দুদক সূত্র জানায়, জাহাজ রফতানির নামে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে আনন্দ শিপইয়ার্ড দেশের ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে এবি ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখা থেকে ১৮৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা ঋণের নামে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫