বেনাপোল (যশোর): আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অযথা হয়রানির প্রতিবাদে সেখানকার বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন ধরে পেট্রাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অযথা হয়রানি করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার সংশিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়েছিল। এসময় তারা হয়রানি বন্ধের আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর হয়নি।
এর আগেও একই দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়ে গত বছরের ১৬ নভেম্বর পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছিল । অবশেষে দু’দিন ধর্মঘট চলার পরে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় শর্ত সাপেক্ষে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজও পর্যন্ত সে অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় অবশেষে পূর্ব ঘোষণা অনুয়ায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারো ধর্মঘট শুরু করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান না হলে পরবর্তীকালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তাদের এই ধর্মঘটে বন্দর ব্যবহারকারী, সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী ও আমদানি-রফতানিকারদের সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, এমনিতে ২০ দলের অনির্দিষ্টকালের অবরোধের কবলে পড়ে বেনাপোল বন্দর অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে। অবরোধের মধ্যে দ্বিগুণ খরচে ঝুঁকি নিয়ে জরুরি কিছু কিছু পণ্য পরিবহন করতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার পেট্রাপোল বন্দরের ধর্মঘটে ওপারে আমদানি পণ্য আটকে পড়েছে। আটকে থাকা পণ্যবোঝাই পরিবহনের সব ব্যয়ভার আমাদের বহন করতে হবে। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পতির আহ্বান জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার ইন্সপেক্টর তপন কুমার হালদার বাংলানিউজকে বলেন, পেট্রাপোলের ব্যবসায়ীরা তাদের ধর্মঘটের বিষয়টি চিঠি দিয়ে আমাদের জানায়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা ধর্মঘটের কথা জানতে পেরেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৫