ঢাকা: টানা অবরোধ ও হরতালের ফাঁদে পড়ে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশের পর্যটন খাত। এভাবে চলতে থাকলে এ মৌসুমে শত কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়।
বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অবরোধ ও হরতালে তাদের ব্যবসায় স্থবিরতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্যুরিস্টরা তাদের ট্যুর বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
শুরুতে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (তোয়াব) পরিচালক তৌফিক রহমান বলেন, অবরোধ-হরতালের কারণে টুরিস্টরা বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে আসছেন না। ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার ট্যুরিস্ট তাদের ভ্রমণ বাতিল করেছেন।
শিগগিরই এর সমাধান না হলে পর্যটন খাত এ মৌসুমে কমপক্ষে ১শ’ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আর যদি হোটেলের হিসাব ধরা হয় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। বলেন তিনি।
পর্যটন খাত থেকে শতভাগ বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে উল্লেখ করে তোয়াব সদস্য ফরিদুল হক বলেন, এর ওপর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আঘাত এলে ব্যক্তি ও দেশ উভয়ই ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আমরাতো রাজনীতি করি না, কোনো অন্যায়ও করিনি, তাহলে আমাদের কেন আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে হবে।
অবরোধ ও হরতালে দেশের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, চলতি মৌসুমে বাংলাদেশে ট্যুরিস্টদের আসতে নিষেধ করে অনেক দেশই ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিচ্ছে। পর্যটন খাতে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হবে। এর ফলে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা পথে বসতে বাধ্য হবেন।
বক্তারা পর্যটকদের সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য সরকারের পাশাপাশি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান খান কবির, পরিচালক নিখিল রঞ্জন রায়, জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তার আহম্মেদ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোক্তার হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫
** পর্যটনকে অবরোধ ও হরতাল মুক্ত রাখার দাবি