নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে হরতাল ও অবরোধের নামে ধংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, লোকসান গুণতে গুণতে তাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের শীতলক্ষ্যা কমিউনিটি সেন্টারে ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয় নির্ধারণ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা এ সব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও নিট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান বলেন, চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী। ২০০১ সালে শোনাতে চেয়েছিলাম। শোনেননি।
তারা বলেন, আর কোনো অবস্থাতেই নারায়ণগঞ্জের রাস্তায় আগুন জ্বালানো যাবে না। গাড়ি ভাঙচুর করা যাবে না। সবার কাছে অনুরোধ রাখবো, প্রত্যেকটা মসজিদে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে যুবকদের সংগঠিত করুন। প্রয়োজনে নামে-বেনামে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন, কারা এমন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে লিপ্ত।
তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা লক্ষ রাখবেন, আপনাদের পরিবারের কোনো সদস্য এমন কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা। আর যদি কোনো গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়, তাহলে ব্যবসায়ীদের নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে উঠবেন। আর একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারা হলে, আপনার সন্তানদের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে, আমরা বসে থাকবো না।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌযান পরিবহন সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মো. বদিউজ্জামান বাদল বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ অচল হয়ে যাবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফ দিপু বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক দিন ধরেই আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা কঠিন পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আসছি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সহসভাপতি মঞ্জুরুল হক, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক জিএম ফারুক, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫