ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এনজিও স্বেচ্ছাসেবা থেকে সরে এসেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫
এনজিও স্বেচ্ছাসেবা থেকে সরে এসেছে ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, দেশে ভলান্টারি সার্ভিস নেই, যা আছে তা এনজিও সার্ভিসে পরিণত হয়েছে। আগে এনজিওগুলো স্বেচ্ছাসেবা দিতো, এখন তারা সেখান থেকে থেকে সরে এসেছে।

স্বেচ্ছাসেবা দেওয়ার মনমানসিকতা তাদের এখন আর নেই।

শনিবার রাজধানীর এলজিইডি মিলনায়তনে ভলান্টিয়ার্স  অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশের(ভিএবি)১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি  প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তবে অর্থমন্ত্রী আয়োজক সংগঠনটিকে আগে থেকে চেনেন এবং তারা যেসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাতে তিনি সন্তুষ্ট বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ড. আতিউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘ভলান্টিয়ার্স এসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ’ আমেরিকা প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশি ও তাদের বন্ধু-বান্ধবদের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। দেশের মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সমাজ সংযোগ কর্মসূচি পালনের মহান ব্রত নিয়ে সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ থেকে পনের বছর আগে। সময়ের পরিক্রমায় তা মহীরূহ হয়ে আধুনিক শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।

গর্ভনর আরও বলেন, শীতার্থদের জন্য লাখ লাখ কম্বল নিয়ে ব্যাংকগুলো এগিয়ে এসেছে। রানা প্লাজার ঘটনায়ও প্রায় শত কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। আমরা দুঃসময়ে ব্যাংকগুলোকে একত্রিত করতে পেরেছি। ’

তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণেও ২৯ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। এতে করে স্বাধীনতার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া লাখেরও বেশী গরীব ছেলে মেয়েদের স্কলারশিপ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।

ভিএবি তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়তে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রজেক্টর ও প্রিন্টার বিতরণ করছে। আমি ভিএবি’র এসব কার্যক্রমের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানাই। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করার জন্য হালে অধিকতর সামাজিক দায়সম্পন্ন হয়ে ওঠা ব্যাংকিং খাতের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে আমরা ভিএবি-কে ১০ লাখ টাকা অনুদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুদানের সম্মতি পত্র প্রদান করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কাজে আমাদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষাবিদ ও প্রকৌশলী ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, গভর্নর সম্পর্কে যে দৃষ্টি ভঙ্গি ছিল তার পরিবর্তন করেছেন ড.আতিউর রহমান। তিনি দেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন। ’

শিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে আমি কাজ করি। এই শিক্ষা না থাকলে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না। আশা করি ভিএবি বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারে কাজ করে যাবে। ’


বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫/ আপডেটেড- ১৩৩৫ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।