বেনাপোল (যশোর): চলমান অবরোধের কারণে যশোরের বেনাপোল বন্দরে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে দুই দেশের বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০জানুয়ারি) দুপুর ২টায় পেট্রাপোল কাস্টমস শুল্ক স্টেশন অডিটরিয়ামে এই বৈঠক শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহাসিন মিলন বাংলানিউজকে জানান, দ্রুত পণ্য খালাস ও ট্রাক চালকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে তাদের আমন্ত্রণে পেট্রাপোল বন্দরে দু’দেশের কাস্টমস ও বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের মধ্যে এ বৈঠক হয়।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের কাস্টমস সহকারী কমিশনার সিরাম বিসনয়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ফেডারেশন অব ট্রাক ওনার্স অ্যাসোয়িশন অল ইন্ডিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলিপ দাস, কলকাতা সীমান্ত পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোক দেবনাথ, পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র প্রমুখ।
বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার সরাফ মোহাম্মদ ফয়সাল, বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মনির আহম্মেদ, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সহ সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাসির হোসেন, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম, বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নকিব আহম্মেদ প্রমুখ।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহাসিন মিলন জানান, ২০ দলের টানা অবরোধে বিভিন্ন সমস্যার কারণে ব্যবসায়ীরা বেনাপোল বন্দর থেকে প্রয়োজনীয় আমদানি পণ্য খালাস নিতে পারছেন না। এতে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য জটের সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে স্থান সংকটে ভারতীয় ট্রাকে আমদানি হওয়া পণ্য খালাসে বিলম্ব হচ্ছে। এতে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা ট্রাক চালকরা দ্রুত পণ্য খালাস করতে না পেরে বিভিন্ন সমস্যার অভিযোগ করেছেন।
আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান না হলে তারা এ পথে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বলে জানান মহাসিন মিলন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫