ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কৃষিতে এখন দাদন ও মহাজন শব্দ নেই। কৃষকদের কার্ড করে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ‘লাগসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফ’র আয়োজনে নিজস্ব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ।
আগামীতে আলু ধানসহ বিভিন্ন ফসলেও জেনেটিক ব্যবহার করা হবে জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এক সময়ে হাইব্রিড জাতীয় ফসল চাষের অনেক
বিরোধিতা এসেছে। সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমরা হাইব্রিড জাতীয় ফসলের অধিক ফলন ফলাতে সফল হয়েছি। বিটি ব্রেঞ্জাল নিয়ে বিরোধিতা করা হয়েছে। আমাকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়েছে।
গত বছরে ১৬৮ কোটি টাকার কীটনাশক কম আমদানি হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভূমিনীতি নয় বরং কম জমিতে কীভাবে অধিক ফলন ফলানো যায়,
সেদিকে নজর দিতে হবে। আইন করে কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়। ভূমিনীতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এটা করা বেশ কঠিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. সেলিনা আফরোজা গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরেন।
আলোচকের বক্তব্যে সাবেক সচিব ড. জহুরুল করিম কৃষিতে প্রযুক্তি, মূলধন, প্রশিক্ষণ, সঠিক বীজ ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি যাচাই-বাছাই করে মাঠে প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী নব্য কৃষি ধারা সূচনার আহবান জানিয়ে ভ্যালু চেইনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম। মূল বিষয়ের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (কার্যক্রম) গোলাম তৌহিদ।
সেমিনারে কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর ভিডিও প্রদর্শন, সফল খামারিদের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫