ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্য মেলা

হাজির বিরিয়ানির প্রতারণা এবারও!

জান্নাতুল ফেরদৌসী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
হাজির বিরিয়ানির প্রতারণা এবারও! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় খাওয়ার পরে এবারও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন হাজির বিরিয়ানির স্টলে আসা গ্রাহকরা। ফুল প্লেট বিরিয়ানির দামের সঙ্গে যোগ হচ্ছে মোটা অংকের সার্ভিস চার্জ।

সাধারণ মানের খাবারকে স্পেশাল খাবার বলে চালিয়ে দিচ্ছেন স্টলের কর্মচারীরা। খাওয়ার পর ভাউচারে গড়মিল করে বেশি বিল দাবি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ অনেকের।

গত বছরের বাণিজ্য মেলায়ও হাজির বিরিয়ানির এ ধরনের প্রতারণার শিকার হন মেলার দর্শনার্থীরা। পরে মেলা কমিটিকে অভিযোগ জানালে অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া বাড়তি অর্থ ফেরত দেন স্টলটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা।    

রোববার (২৪ জানুয়ারি) মেলার এ স্টলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সরকারি চাকরিজীবী এস এম শহীদ বলেন, খাবারের তালিকা অনুসারে ফুল প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানির মূল্য ৩শ’ ৪০ টাকা। হাফ প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানির মূল্য ১শ’ ৭০ টাকা। তিনজন খাওয়ার পর স্টলের কর্মচারী আমাকে বিল দিয়েছেন ১ হাজার ৭শ’  টাকা।

তিনি বলেন, বিল মেলাতে না পেরে স্টলের কাউন্টারে গিয়ে অভিযোগ করলে তারা জানান এটা ‘স্পেশাল’ খাবারের বিল। এ নিয়ে স্টলের ইনচার্জের সঙ্গে কিছুক্ষণ বাক-বিতণ্ডা হওয়ার পর তালিকা অনুসারে পুনরায় হিসাব করা হয়। তখন বিল সংশোধন করে আমার কাছ থেকে ১ হাজার ২০ টাকা নেওয়া হয়।

সরেজমিনে হাজির বিরিয়ানির স্টলটিতে গিয়ে দেখা গেলো, বিক্রম নামের অন্য একজন গ্রাহকের সঙ্গে ভ্যাট নিয়ে তর্কাতর্কি হচ্ছে কাউন্টারে বসা এক কর্মচারীর।

জানতে চাইলে মিরপুরের দর্শনার্থী বিক্রম জানান, খাওয়ার পর ভাউচারে আমাদের বিলের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে ৪০ টাকা। এক কর্মকর্তা বলছেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিয়ে এ বিল করা হয়েছে। অন্যজন বলছেন, এ দোকানের ভ্যাট সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। খাবারের দামও ধরা হচ্ছে আকাশ ছোয়া।

তিনি জানান, বিলের কাগজ কাউন্টারে দেখালে ইনচার্জ বলেন, আমাদের লিখতে ভুল হয়েছে। ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় তালিকায় প্রদত্ত নির্দিষ্ট মূল্য থেকে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্টলের অন্যান্য গ্রাহকরাও।

এতোসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্টলের ইনচার্জ মনির চৌধুরী বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি। আসলে কিছু কিছু ভুল করছেন নতুন কর্মচারীরা। এরপর থেকে সতর্কতার সঙ্গে এ ভুলগুলো সংশোধন করা হবে। গ্রাহকের সঙ্গে যে কর্মচারীরা এমন করছেন- তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়:  ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।