ঢাকা: ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ ও সোম-মঙ্গলবারের হরতালেও দশর্নার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ। সকালে লোক সমাগম কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় দশর্নার্থীর ভিড় বাড়ছে।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের মতো সকালে দশর্নার্থীর সংখ্যা কম থাকলেও বিকেলে বেড়েছে। সে সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়ছে বিক্রেতাদের।
টিকিট কাউন্টারে কথা হয় কুসুমের সঙ্গে। গার্মেন্টসে চাকরিজীবী কুসুম জানান, হরতালের কারণে আজ কাজে যেতে হয়নি। তাই বোনকে নিয়ে মেলায় এসেছি। শুনেছি মেলায় অনেক কিছু ছাড়ে পাওয়া যায়।
মেলার ভেতরেও দশর্নার্থীদের সমাগম লক্ষ্য করার মতো। দুই সন্তানকে নিয়ে বেইলী রোড থেকে এসেছেন মো. জাফর। তিনি বলেন, ছেলেদেরকে মেলা দেখাতে এনেছি। সাধারণত ওদেরকে (ছেলেদের) সময় দেওয়া হয়না। হরতালে বের হয়েছি, একটু ভয় তো ছিলই।
হরতালের অবসরকে কাজে লাগিয়েছেন ব্যবসায়ী মো. আশরাফ উদ্দিন। তিনি বলেন, হরতালে দোকান বন্ধ। তাই পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। সবাই মিলে একসঙ্গে কেনাকাটা করবো বলেই মেলায় আসা।
মিরপুর-১ নম্বর থেকে আসা মেলার আরেকজন দশর্নার্থী সানজিদা সান্জু। তিনি বলেন, বান্ধবীরা মিলে এসেছি। হরতাল-অবরোধের কারণে রাস্তায় যানজট ছিল না। তাই খুব সহজেই আসতে পেরেছি। সমস্যা না হলেও ভয় ছিল।
শফিক, সালাউদ্দিন, রিপন এসেছেন খামারবাড়ি এলাকা থেকে। তাদের একজন বলেন, মেলার বিভিন্ন স্টলে কম দামে ব্লেজার পাওয়া যাচ্ছে। এসব দেখতেই মেলায় এসেছি।
এদিকে দশর্নার্থীদের ভিড় দেখে বিক্রেতাদের মুখে তৃপ্তির ছাপ দেখা গেছে। দশর্নার্থীদের পদচারণায় মেলা জমজমাট হওয়ায় ব্যস্ত ক্রেতারা।
তানিন ফানির্চারের বিক্রয়কর্মী ফারজানা জানান, অন্যান্য দিনের হরতালে ক্রেতা কম থাকলেও রোববার ও আজ তেমন প্রভাব পরেনি।
আলম এন্টারপ্রাইজের ইনচার্জ মোল্লা শফিক বলেন, দু’দিন ধরে মেলায় ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দশর্নার্থী বাড়লে ক্রেতা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
কথা হয় মারটেক্স নামের এক পোশাক প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ আশিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ সপ্তাহের শুরুর দিক থেকেই মেলার লোকজন বেড়েছে। তবে হরতালেও সে ধারাবাহিকতা বজায় আছে এটাই আমাদের জন্য আনন্দের।
বাংলোদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫