ঢাকা: ‘বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন’র(বিএসসি)জন্য ৬টি নতুন জাহাজ কেনার প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি । এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
চীনা সরকারের আর্থিক সহায়তায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ছয়টি(৩টি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাঙ্কার ও ৩টি বাল্ক ক্যারিয়ার) এই জাহাজ ক্রয় করা হবে। চীনা সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন’(সিএমসি)জাহাজগুলো সরবরাহ করবে।
২০১২ সালের ১৫ জুন বিএসসি ও সিএমসির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চীনের এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে চীনা সরকারের প্রিফারেনশিয়াল ঋণের আওতায় এ জাজাজ কেনা হবে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আশির দশকে বিএসসি’র বহরে মোট ২৮টি জাহাজ ছিল। বিগত কয়েক বছরে বয়সের কারণে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। বর্তমানে মাত্র ৮টি জাহাজ রয়েছে। যেগুলোর বয়স ৩০ বছরের উর্ধে। বিভিন্ন বিধি নিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক রুটে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
যে কারণে বিএসসি’র বাণিজ্যিক পরিধি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক শিপিং ট্রেডে অস্তিত্ব রক্ষার্থে আধুনিক এ সব জাহাজ ক্রয় করা জরুরি।
বৈঠকে ‘ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার’ স্থাপনে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কনসোর্টিয়াম ‘জেডটিই হোল্ডিংস কোম্পানি লিমিটেড’ ও ‘জেডটিই করপোরেশন’-এর সঙ্গে চূড়ান্ত কমার্শিয়াল চুক্তি সই করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে বেসরকারিকরণের জন্য প্রাইভেটাইজেশন কমিশনে ন্যস্ত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রয়ের তালিকা থেকে প্রত্যাহারপূর্বক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফেরত প্রদানের প্রস্তাব তোলা হলে তা ফেরত দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫