ঢাকা: ব্যবসায়ীদের ৫শ কোটি টাকার উপরের বকেয়া (খেলাপী) ঋণ পুনর্গঠনে ১২ বছর পর্যন্ত সময় রেখে ঋণ পুনর্গঠন নীতিমালা অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। তবে প্রতারণা অথবা জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কোনো ঋণ গ্রহীতা এই পুনর্গঠনে সুযোগ পাবেন না।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৩৫৮তম সভায় এ নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়।
শিগগিরই এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন পাওয়া ঋণ পুনর্গঠন নীতিমালা অনুযায়ী, পুনর্গঠনের জন্য আবেদন করা বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৫শ কোটি টাকার উপরে হতে হবে। একক অথবা গ্রুপভূক্ত ঋণ গ্রহীতারা একক ভাবে অথবা গ্রুপ ভিত্তিক পুনর্গঠনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ঋণ পুনর্গঠনের জন্য এ আবেদন করা যাবে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। একজন গ্রাহক ঋণ পুনর্গঠনে একবারের বেশি আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।
বকেয়া ঋণের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার মধ্যে হলে গ্রাহককে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। আর এক হাজার কোটি টাকার উপরে হলে ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে এক শতাংশ। মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে পুনর্গঠনের সময় সর্বোচ্চ ১২ বছর হবে। তবে চলতি ঋণের ক্ষেত্রে পুনর্গঠনের সর্বোচ্চ সময় হবে ৬ বছর।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবলয়ের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, যেসব ঋণ গ্রহীতা অপরিহার্য কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে অসমর্থ হয়ে পড়েছেন তাদের ঋণ পরিশোধে কিছুটা নীতি সহায়তা দিতে ঋণ পুনর্গঠন নীতিমালা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঋণ গ্রহীতাদের এ নীতি সহায়তা দেওয়ার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেগবান হবে। পাশাপাশি ব্যাংকের ঋণ আদায় নিশ্চিত হবে। এমন পরিকল্পনা থেকেই ঋণ পুনর্গঠন নীতিমালা জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, নীতিমালা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর্থনীতির গতি বাড়বে। অবশ্য এ জন্য গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সদ ইচ্ছা এবং ব্যাংকের পেশাদারিত্ব থাকতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্ক দৃষ্টি থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫