ঢাকা: প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসাব নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ে ১১টি স্থানে দুর্নীতি হয় বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়েছে, সিএজি কার্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রী-সাংসদসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের তদবিরে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার(২৯ জানুয়ারি’ ২০১৫) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে দুর্নীতি কমিয়ে আনতে ২০টি সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
সিএজি কার্যালয়ে যেসব ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়, তার তালিকা প্রকাশ করে টিআইবি বলছে, এই কার্যালয়ে কাজ করানোর জন্য ৪হাজার থেকে ৫লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়।
বিভিন্ন অডিট, নিয়োগ, পদায়ন ও বদলিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে বলেও দুর্নীতিবিরোধী জার্মানভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ শাখার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সিজিএ কার্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা রয়েছে বলে টিআইবি মনে করছে। এর মধ্যে রয়েছে- প্রয়োজনীয় ও দক্ষ জনবলের অভাব, হিসাবের প্রতিবেদন সময়মত সম্পন্ন না করা, হিসাবরক্ষণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব, নিয়োগ, পদোন্নতি ও অর্গানোগ্রামে সমস্যা, অডিট ও হিসাবের পৃথকীকরণ এবং সিএজি, সিএজি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে সমস্যা।
মন্ত্রণালয় ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গ্রেডিংয়ে সমস্যা, জবাবদিহিতা ও তদারকিতে সমস্যা, অফিস স্থাপনা ও অন্যান্য লজিস্টিকের সাপোর্টের অভাব এবং প্রশিক্ষণের সমস্যাও চিহ্নিত করেছে টিআইবি।
এইসব সমস্যা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এর ফলে রাষ্ট্রীয় ব্যয় বাড়ছে, আর্থিক বিবরণে সঠিক চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না, পরবর্তী বাজেটে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ’
সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বেশ কিছু সুপারিশে সিএজি অফিসকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দিতে বলেছে টিআইবি।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫