ঢাকা: দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনে নেমে কর্তৃপক্ষের রোষাণলে পড়েছে গ্রামীণ ফোনের কর্মীরা। র্যাব ডেকে লাঠিপেটা করিয়ে কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি ভন্ডুল করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এরপর বিকেলে হঠাৎ করেই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১ এর বেশ কিছু সদস্য তাদের ওপর চড়াও হয়।
একাধিক কর্মচারীর অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন এমন সময় র্যাব সদস্যরা হাজির হয়ে কোনো কথা ছাড়াই তাদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। বেধড়ক লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন কর্মচারী আহত হন। মাটিতে ফেলেও কাউকে কাউকে পেটানো হয়। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আতঙ্কিত হয়ে দিগবিদিক ছোটাছুটিতে মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় কর্মসূচিস্থল। এ সময় র্যাব সদস্যরা কর্মচারীদের ব্যানারটি নিয়ে যায়।
বাংলানিউজের চিফ অব ফটো করেসপন্ডেন্টস নাজমুল হাসান এই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। তার ক্যামেরাও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে র্যাব সদস্যরা।
আন্দোলনরত কর্মীরা র্যাবের লাঠিপেটায় চলে গেলেও ঘটনাস্থলে র্যাবের অবস্থান করতে থাকে।
এদিকে রোববার দিনভর এ বিষয়ে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলে রাতে একই ই-মেইলে বক্তব্য জানানো হয়। এতে আন্দোলনরতদের নিজেদের কর্মী হিসেবে মেনে নিচ্ছে না গ্রামীণফোন। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো।
গ্রামীণফোনের বক্তব্য
তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের কাজে নিয়োজিত একদল কর্মী নিজেদের গ্রামীণফোনের নিয়মিত হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে মামলা করেছিল। ওইসব মামলা এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন আছে। কিন্তু মামলা বিচারধীন থাকলেও তারা এখন আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের ওপর অন্যায্য চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখানে উল্লেখ্য যে এরা আগেও এধরনের গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
সাধারণ সেবার জন্য বড় প্রতিষ্ঠানগুলো অন্য প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিয়ে থাকে এবং গ্রামীণফোনও দেশের আইন অনুযায়ী এসব সেবা গ্রহণ করে। এসব সেবার জন্য গ্রামীণফোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ন্যায্যমূল্য দিয়ে থাকে।
বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময় ০৯৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫