সিলেট: অবেরোধে ওষ্ঠাগত জনজীবন। সেই সঙ্গে চলছে হরতাল।
ফলন ভালো হলেও পাচ্ছেনা না দাম। উৎপাদিত সবজি পরিবহন করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। তাই বাজারজাত করতে নদী পথে নিয়ে আসছেন সবজি।
তবে নগরের কাঁচাবাজারে তুলতে না পারায় নদীর পাড়েই বসিয়েছেন সবজির হাট। সেখানেই কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কিনে নিচ্ছেন পাইকারী ক্রেতারা।
এমনিতেই লোকসানের সম্মুখীন হওয়ার পরও নৌকায় ও ট্রলার ভাড়া করে সবজি এনে বিক্রিতে বাড়তি খরচ বহন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের বিশ্বনাথের কামালবাজার, লামাকাজি, সদর উপজেলার টুকেরবাজার, কানাইঘাটের চরাঞ্চল থেকে নদীপথে ক্ষেতের শীতকালীন সবজি নিয়ে আসা হচ্ছে নগরীর বাজারে।
নগরীর কাজিরবাজার সংলগ্ন সুরমা নদীর তীরে বসা এই হাট থেকে নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে যাচ্ছে সবজি। এতে পাইকারী ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও পরিবহণ ব্যয় বহন করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা। অনেকে নদীর তীরের অস্থায়ী হাটে দাম না পেয়ে ভ্যানে করে সবজি পৌছাচ্ছেন নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে।
সিলেটের কামাল বাজার থেকে টমেটো নিয়ে আসা কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, ভাড়া করা নৌকায় ক্ষেতের টমেটো নিয়ে এসেছেন। এরপর বাজারের যে অবস্থা বিক্রি করতে হচ্ছে লোকসানে। অবরোধের আগে ক্ষেতেই ১৮/২০ টাকা করে টমেটো বিক্রি করলেও এখানে আনার পর ১০/১২ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
একইভাবে উদ্বেগের কথা জানালেন টুকেরবাজারের বাসিন্দা আরজু মিয়া। তিনি বলেন, অবরোধের কারণে ক্ষেতে অনেক ফসল পড়ে আছে। তাই নৌকা ভাড়া করে এখানে নদীঘাটে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি।
তবে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে অনেকে ভ্যানে করে সবজি নিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
২০ দলের ডাকা অবরোধ ও হরতালের কবলে এভাবে অসংখ্য কৃষকে উৎপাদিত সবজি নিয়ে বিপাকে আছেন কৃষকরা।
সিলেটের সুবহানীঘাট ট্রেড সেন্টারস্থ কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব তোরণ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, অবরোধের কারণে শুধু কৃষকরাই নয়, লেবার থেকে শুরু করে কাঁচামালের ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ।
তিনি বলেন, অবরোধ না থাকলে এ মৌসুমে সিলেটে উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। কিন্তু অবরোধ থাকায় তা সম্ভবে হয়ে উঠছে না। যে কারণে কৃষকরা সবজি বিক্রি করতে না পারায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘন্টা, জানুয়ারী ২২, ২০১৫