ঢাকা: বেলা গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে, তবুও মেলায় নেই দর্শনার্থীর ভীড়। প্রতিটি স্টলই প্রায় ফাঁকা ফাঁকা।
২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ ও ৭২ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার (০২ ফেব্রুযারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার দৃশ্য ছিল এমনই।
তুলনামুলক কম ছিল দশর্নার্থীর সংখ্যা। দিনের শুরুতে দশর্নাথীর সংখ্যা ছিলো হাতে গোনা কয়েকজন।
হরতালের কারণে দশর্নার্থী এবং ক্রেতা কোনোটাই নেই মেলায়। মেলার মেয়াদ বাড়িয়ে যেন আরো বিপদে পড়েছেন মেলার বিভিন্ন স্টলের মালিকরা। এভাবে হরতাল চলতে থাকলে লাভ তো দূরের কথা শেষ পযর্ন্ত লোকসানের ঝুড়ি পরিপূর্ণ হবে এই আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
সুমাইয়া জামদানি উইভিং স্টলের ইনচার্জ আবদুল বারেক বলেন, সময় বাড়িয়ে আমাদের বিপদ বেড়েছে। হরতালের কারণে মেলায় ক্রেতা কম। গতকালও বেচা বিক্রি ভালো ছিলো না। এ বেলা পযর্ন্ত হিসেবের খাতায় কিছুই যোগ হয়নি।
কথা হয় স্প্রে ওয়ে স্টলের মার্কেটিং কনসালটেন্ট আমিনুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, টানা অবরোধ-হরতালে মেলার গতি যেন দিন দিন নিচের দিকে যাচ্ছে। অথচ মেলা শেষের তারিখ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ার কথা।
মেলার মিনি থাইল্যান্ড প্যাভিলিয়নের জুয়েলারি স্টলের ইনচার্জ হারুন জানান, গতবছর এই সময় আমরা কাস্টমারের ভিড়ে কারও সঙ্গে কথাই বলতে পারতাম না। কিন্তু এবার হরতালের কারণে মেলা জমছে না।
মেলায় ঘুরতে এসেছেন সোমা। তিনি বলেন, হরতালের কারণে মেলার দশর্নার্থী কম। তার সঙ্গে আরও চার বান্ধবীর আসার কথা ছিলো। কিন্তু হরতালের কারণে তিনজন বের হননি।
মেলার মত মেলা উপভোগ করতে পারেননি সাদমান। তিনি বলেন, গত বছর মেলায় এসেছিলাম অনেক ভীড় ছিলো। কিন্তু এবার যেন সাধারণ বাজারে এসেছেন। মেলার মত মেলাটাকে উপভোগ করতে পারলেন না এবার। তাছাড়া হরতালে বাবা মাও বের হতে দেন না বাসা থেকে।
এ সম্পর্কে মেলার উপসচিব রেজাউল করিম বলেন, হরতালে যেহেতু সারাদেশে প্রভাব পড়েছে সেহেতু মেলাতেও প্রভাব পড়বে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। এক্ষেত্রে আমরা নিরুপায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫